যশোর-৬ (কেশবপুর উপজেলা) আসনে রীতিমতো চমক সৃষ্টি করে ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হলেও এখনো অনেকেই তাকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি হিসেবেই জানেন। ডাক নাম শ্রাবণ হিসেবে চেনেন সবাই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সোমবার ২৩৭ আসনে বিএনপি যেসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, পুরুষ প্রার্থীদের মধ্যে ৩৮ বছর বয়সি শ্রাবণ কনিষ্ঠতম। মনোনয়ন পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদের সর্বোচ্চ চাওয়া-পাওয়া থাকে দলের হয়ে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করা। আমি ইতোমধ্যে দলের কাছ থেকে সেটা পেয়েছি। দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে সেটির সম্মান যেন রাখতে পারি, সেই চেষ্টা করা। কেশবপুরবাসীর মন জয় করে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।’ কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামের সন্তান শ্রাবণ ২০২২ সালে ছাত্রদলের সভাপতি হন। ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়। তার পরিবারের প্রায় সবাই (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগ করেন এবং তারা কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এরকম একটি পরিবার থেকে শ্রাবণ ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার পর বিষয়টি মিডিয়ায় আলোচনার সৃষ্টি করে। দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর আবারও এ বিষয়টি মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে শ্রাবণ বলেন, ‘আমি আদর্শের রাজনীতি করি।
রক্তের সম্পর্কের চেয়ে আদর্শের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও মজবুত হয়। আমার আদর্শের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আমাকে নমিনেশন দিয়েছে। এখানে পরিবার কোনো “ম্যাটার” করবে না। আমি কেশবপুরের সব জনগণের ভোট নিয়েই ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করব ইনশাল্লাহ।’ যশোর-৬ আসনে আরও চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট করতে গিয়ে সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত রবিবার আমরা মনোনয়নপ্রত্যাশীরা একসঙ্গে বসে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, দল যাকে ধানের শীষ প্রতীক দেবে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে কাজ করব।’