খাগড়াছড়িতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিদেশফেরত ৫৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের অবস্থান খুঁজে বের করে তাদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি ও মজুদ করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন। খাগড়াছড়ি সদর ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় গত দুইদিনে অবৈধভাবে চাল মজুদ করার অপরাধে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালার পাশাপাশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড ও সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিক্রির দায়ে এক চিকিৎসককে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালসহ জেলার সবক’টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সামান্য সর্দি জ্বর কাশিতে হাসপাতালমুখী না হয়ে প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক মোবাইল পরিষেবা ১৬২৬৩ নাম্বারে কল করে সেবা নিতে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
পৌর সভার মেয়র মো : রফিকুল আলম করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পৌর শহরে প্রতিদিন সচেতনামূলক মাইকিং প্রচারণা অবাহত রয়েছে । জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল