বর্তমানে চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের প্রকোপে এখন ইউরোপের দেশ ইতালি যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
তবে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের সেই উহান বলা যায় এখন করোনামুক্তি। কেননা, টানা তিন দিন সেখানে কোনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েনি। ফলে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার জনজীবন।
সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে শহরের তল্লাশিচৌকিগুলো। এসব চৌকি বসানো হয়েছিল মানুষের চলাচল ঠেকাতে। উহানের এই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে বিশ্বব্যাপী বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর এই অর্জন উদযাপন করছে উহানবাসী। আতশবাজি পুড়িয়ে তল্লাশিচৌকি অপসারণ উদযাপন করছে শহরটির অনেক অধিবাসী।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত জানুয়ারি মাসে উহান শহর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপরও মানুষ যাতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে ভাইরাসটি ছড়াতে না পারে, সে জন্য তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে এমনটা জানিয়ে ইতোমধ্যে উহানে স্থাপিত ১৬টি অস্থায়ী হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ নিজ প্রদেশে চলে গেছেন। মানুষ কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উহানের তল্লাশিচৌকি অপসারণ। তবে শহরের বাইরে যাওয়ার ওপর এখনো কড়াকড়ি অব্যাহত আছে।
এদিকে, চীনে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও গোটা বিশ্ব আতঙ্কে কাঁপছে। এরই মধ্যে চীনের বাইরে বিশ্বের ১৮৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৬১৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৫০ জনের।
চীনের উহান থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও তা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ইতালিতে গিয়ে। বর্তমানে ইউরোপের দেশটিতে এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮২৫ জনে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন।
আর চীনে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৬১ জন। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, ওয়াল্ড ওমিটার
বিডি প্রতিদিন/কালাম