গোটা বিশ্ব যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে বেসামাল, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তার দেশে করোনাভাইরাস ‘নিয়ন্ত্রণে’।
আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় এই ‘সুফল’ তারা পাচ্ছেন বলে দাবি পুতিনের।
চীনের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত থাকলেও দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাশিয়ায় ২৫৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ১৪৬ মিলিয়ন মানুষের দেশে চলমান পরিস্থিতিতে চীনের পার্শ্ববর্তী একটি অঞ্চলে এই সংখ্যা নেহাত কম।
৬ লাখ ২৮ হাজার মানুষের লুক্সেমবার্গে এর দ্বিগুণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, ৬৭০ জন। মারা গেছেন ৮ জন।
পুতিনের দেশ জানুয়ারির ৩০ তারিখ থেকে চীনের ২৬০০ মাইল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। তখনই কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা চালু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর পক্ষ থেকে বারবার যে ‘টেস্টের’ কথা বলা হচ্ছে, রাশিয়া এদিক থেকেও এগিয়ে।
ডব্লিউএইচও’র রাশিয়ান প্রতিনিধি মেলিতা ভজনোভিচ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা জানুয়ারির শেষ দিকেই পরীক্ষা শুরু করেছি।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভোক্তা পরিদর্শন অধিদফতর বলছে, তারা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৬ হাজার টেস্ট করিয়েছেন!
পুতিনের এমন সতর্কতার বিপরীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ সমালোচনার মুখে পড়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জানুয়ারিতেই হোয়াইট হাউসকে ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
এই সতর্কতা ট্রাম্প প্রশাসন যে আমলে নেয়নি সেটি বোঝা যায় তাদের এখনকার পরিস্থিতি দেখে। ৩৪৮ জন শুধু মারাই গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮৬৩ জন!
বিডি প্রতিদিন/কালাম