কুড়িগ্রামে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা অব্যাহত রয়েছে। করোনার অজুহাতে প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চাল ও পিঁয়াজের। প্রতি ৫০ কেজি চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা।
যদিও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অভিযান চালাচ্ছে ও জরিমানা করছে। তবুও দাম কমছেনা। জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, এ পর্যন্ত করোনায় ভাইরাস সংক্রমণে বিদেশ থেকে আগত বাংলাদেশি ১৬৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৯০ জনকে এবং গত দুদিনে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষে রিলিজ সনদ দেওয়া হয়েছে ৪৭ জনকে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সেবা প্রদান করতে ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় প্রতিদিন কাজ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর কর্তৃক প্রতিদিনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত কেউ হয়নি। সুতরাং এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন