চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের ১৯৪ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। মারণ এই করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১৬ হাজার ৪৯১ জনের। মোট আক্রান্ত প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৯৪ জন। আর সুস্থ ফিরেছেন ১ লাখ ১ হাজার ৫৮৪ জন। করোনার ভয়ঙ্কর ছোবল থেকে রেহাই মেলেনি চীনের বন্ধু দেশ পাকিস্তানেরও।
ক্রমেই এই মারণ ভাইরাসের থাবা গ্রাস করে ফেলছে দেশটিকে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার কারণে পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে ১.৩ ট্রিলিয়ন রুপির ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে দেশটির নিম্নমুখী জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। এর কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে এয়ারলাইন্সসহ পাকিস্তানের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস, রাজস্ব কমে যাওয়া, ব্যাপকভাবে আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পাওয়া, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া ও খাদ্য সরবরাহসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যয় বেড়ে যাওয়া।
পাকিস্তানের দৈনিক দ্য নিউজ এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ক্ষতি নির্ধারণ করেছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। যদিও দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকরা এডিবি’র এই মূল্যায়ন উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলছে, যে পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে- তা প্রত্যাশিত ক্ষতির চেয়েও কম হবে।
এরই মধ্যে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, এমনিতেই বর্তমান ধীরগতির অর্থনীতির কারণে প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। তার ওপর যদি আবার ‘শাট ডাউন’ করা হয়, তাহলে পাকিস্তানের অর্থনীতি যে পর্যায়ে পৌঁছাবে সেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে নতুন করে আরও ৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে আরও একজনসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। মোট ৮৭৫ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরেছে মাত্র ১৩ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে ক্রমেই এই অনুপাত আরও বেড়ে যাবে। সূত্র : দ্য নিউজ পাকিস্তান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক