২৯ মার্চ, ২০২০ ১৩:৫১

করোনা সন্দেহে কী করণীয়?

অনলাইন ডেস্ক

করোনা সন্দেহে কী করণীয়?

চীনের সীমানা পেরিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্তত ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। 

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড–১৯ এর প্রকাশ ঘটে জ্বরের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর না হলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। কেননা এটি খুবই সংক্রামক। এতে একজন থেকে অন্যজন, এমনকি হাসপাতালের অন্য রোগীরাও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে।

তবে এ অবস্থায় করণীয় কী? সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, সন্দেহভাজন রোগীকে প্রাথমিকভাবে ঘরেই থাকতে হবে।

আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, এ ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ হয় জ্বর। এছাড়া শুকনো কাশি বা গলাব্যথা হতে পারে। এছাড়া শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, ক্যানসার ইত্যাদি থাকলে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।

অন্যদিকে প্রতিষেধক না থাকায় এর প্রতিরোধে সচেতন হওয়াই এখন পর্যন্ত কার্যকর উপায়। এ জন্য ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন; এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে, অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে, মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।

এছাড়া যতটা সম্ভব ঘরে থাকতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়া ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। আর এ মুহূর্তে বিদেশ থেকে কেউ এলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

কারও জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে ফোনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হবে। এরপরও অবস্থার উন্নতি না হলে বা কারও মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নাক-মুখ ঢেকে (মাস্ক ব্যবহার) বাড়িতে অপেক্ষা করতে হবে। অবস্থা খারাপ হলে নিকটস্থ সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

সর্বশেষ খবর