করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলা ও সুরক্ষার প্রয়োজনে নরসিংদী জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ আদেশ কার্যকর এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
লকডাউনকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে বেড়েছে পুলিশি তৎপরতা। ফাঁকা হয়ে গেছে পৌর শহরসহ অলিগলি। ফাঁকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।
তবে বাজারঘাটসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে মানুষজনকে বাহিরে বের হতে দেখা গেছে।এদিকে, উল্টো চিত্র নরসিংদীর চরাঞ্চলগুলোতে। সেখানে সাধারণ মানুষ লকডাউন মানছেন না। সেখানে এখনো অনেক লোকজনকে চা-স্টলসহ বিভিন্ন স্থানে একত্রে বসে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, নরসিংদীর ১শ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মালির করোনায় আক্রান্তের পর চিকিৎসক-নার্সসহ হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি মালি পদায়নে থাকলেও, তিনি সব সময় টিকিট বিক্রির কাজে নিয়েজিত থাকতেন। তাছাড়া একজন চিকিৎসকের এটেনন্ডেন্টও ছিলেন তিনি। তাই তার আক্রান্তের পর হাসপাতালের চিকিৎকরাও আক্রান্তের আশঙ্কা করেছেন। তবে মালিকে আইসোলেশনে নেওয়া হলেও তার সংর্স্পসে আসা ব্যক্তিদের এখনও হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম