সুনামগঞ্জে প্রবাসীর স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদিনের মাথায় এবার নারায়নগঞ্জ ফেরত এক শ্রমিকের প্রসূতি স্ত্রীর শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আজ সোমবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুইয়ে। আক্রান্ত ওই প্রসূতি নারী সদর উপজেলার বেরীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। ওই পরিবারের সাত সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই নারীর স্বামী কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বেরীগাঁওয়ে এসেছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার প্রসূতি ওই নারী সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার রক্ত পরীক্ষা করা হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি ধরা পড়ে।
এদিকে, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ওই নারীর সংস্পর্শে আসা একজন ডাক্তার ও তিনজন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন জানান, ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে আক্রান্ত নারীর বাড়ি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় পুরো গ্রাম সম্পূর্ণরূপে লকডাউন করার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করেছি।
প্রসঙ্গত, শনিবার জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এক সৌদি আরব প্রবাসীর স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই নারীকে সদর হাসপাতালের করোনাভাইরাস চিকিৎসা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। প্রবাসী স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। এই ঘটনার পর রবিবার বিকাল ৫ থেকে সুনামগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ