গোটা বিশ্বব্যাপী এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। নতুন এই ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই বলে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিশ্বজুড়েই।
অনেক সময় আতঙ্ক থেকেই বিভিন্ন কাণ্ড করে বসেন আক্রান্ত রোগীরা। এবার চাঁদপুরে এমন একটি কাণ্ড।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে আসলেন এক ব্যক্তি। চিকিৎসা মিলবে কি না- তা নিয়ে ছিলেন শঙ্কায় তিনি। কিন্তু ভর্তি হতে এসে আতঙ্ক থেকে পালিয়ে যান তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘুরে ফিরে তাকে ফের হাসপাতালেই আসতে হল পুলিশের সঙ্গে।
রাজধানী ঢাকা থেকে চাঁদপুরে ফেরা এক করোনা রোগীকে নিয়ে এই কাণ্ড ঘটেছে।
অসুস্থতা নিয়েই এই রোগী প্রথমে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় এলাকায় করোনা রোগী এসেছে, এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মানুষের অনুরোধে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে যান তিনি। কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সেখান থেকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গাঢাকা দেন। পরে আশ্রয় নেন তার পাশের গ্রামের একটি বাগানে।
তাকে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকায় হইচই পড়ে যায়। পরে রোগীর মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় থেকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল লাগোয়া সেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিরাপদে আছেন ওই রোগী। এমন তথ্য জানিয়েছেন, চাঁদপুরে করোনাবিষয়ক ফোকালপারসন ডা. সুজাউদৌলা রুবেল। তিনি আরও জানান, রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার মগবাজার এলাকায় মুদি দোকানি ছিলেন ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পোঁয়া গ্রামে। শরীরে সর্দি, জ্বর ও কাশি দেখা দিলে তিনি নিজেই গত কয়েকদিন আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। এতে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই অবস্থায় ঢাকা থেকে রবিবার দুপুরে পালিয়ে গ্রামে ফেরেন তিনি। এলাকায় করোনা রোগী এসেছে- এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বজন এবং গ্রামবাসীর অনুরোধে রোগী নিজেই চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে আসেন। কিন্তু হঠাৎ কি মনে করে ওয়ার্ডের স্টাফদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দ্রুত গা ঢাকা দেন তিনি।
রবিবার বিকালে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমানকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম