রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী মোস্তাফিজুর রহমান করোনা থেকে মাত্র ১০ দিনেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নেন আইসোলেশনে থেকে। ইতোমধ্যেই দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে তিনি করোনামুক্ত বলে নিশ্চিত হয়েছেন।
ঠিক কীভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়ে তিনি নিজে নিজে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, সে ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। আজ সোমবার সকালে নিজের চিকিৎসার বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, 'আমি শুরু থেকেই সুস্থ অনুভব করছিলাম। আমার জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি কিংবা অন্য কোনো উপসর্গ ছিল না। আমি যেহেতু বিদেশ থেকে এসেছি, তাই অনেকের কথায় আমি করোনা টেস্ট করি। গত ১৪ এপ্রিল আমি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই। সেই পরীক্ষায় গত ১৫ এপ্রিল করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে আমার শরীরে। তখন থেকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন থেকে আমি চিকিৎসাসেবা নিই।'
২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট করানো হলে সেখানে আমার করোনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে আমি নিশ্চিত হই আমি করোনামুক্ত।
মোস্তাফিজুরর রহমান বলেন, 'আমি প্রতিদিন নিয়মিত চার থেকে পাঁচবার গরম পানির গারগিল করতাম। পানিতে লবণ ব্যবহার করেছি। নিয়ম করে প্রতিদিন একাধিকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি। তবে তেমন কোনো ওষুধই আমি সেবন করিনি। শুধু নাপা ট্যাবলেট ও কয়েকটি ভিটামিন সি এর জন্য ইসি প্লাস ও জেনোরেট ট্যাবলেট খেয়েছিলাম।'
তিনি বলেন, 'সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে আধা চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে গারগিল করেছি। বিকেলে আরেকবার করেছি। একইভাবে সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গারগিল করেছি, রাতেও করেছি। দিনে-রাতে একাধিকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি। এতে জীবাণুর মৃত্যু ঘটে। এভাবেই আমি সুস্থ হয়েছি, এর বাইরে আমি আর কিছুই করিনি।'
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা