সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত ৩৫ জনের মধ্যে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ৫ পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তারা জানিয়েছেন তাদের করোনা জয়ের অভিজ্ঞতার কথা।
তারা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমা মূসা, থানার এসআই অলক দাস, এএসআই হেলাল উদ্দিন, এএসআই জাহাঙ্গীর কবীর ও কনস্টেবল আবুল কালাম ও জনি তালুকদার। তাদের মধ্যে স্বাস্থ কর্মকর্তা নিজ কর্মস্থল উপজেলা হাসপাতাল ও পুলিশ সদস্যরা সিলেট বিভাগীয় হাসপাতাল থেকে করোনা জয় করেন ফিরেন। বর্তমানে আরো ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তারা।
তারা জানান, করোনা শনাক্ত হবার পর, কখন কি হয়? এই ভেবে প্রথমে একটু ভয় ভয় করছিল। ধীরে ধীরে ভয় কেটে যায়। মনোবল বাড়িয়ে শুরু হয় স্বাভাবিক দিনযাপন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন তারা। সেবনের তালিকায় ছিল অ্যান্টিবায়েটিক জি ম্যাক্স, অক্সিকোইন, সিভিট, ভিটামিন ডি ও জিংক জাতীয় ট্যাবলেট। সেই সাথে স্বাভাবিক খাবারের সাথে ভিটামিট-সি সমৃদ্ধ ফলমূল গ্রহণ করেন তারা। কুসুম গরম পানিতে লেবুর শরবত খাওয়া, দিনে ২/৩ বার, গুলমরিচ, লং, আদা, তেজপাতা ও দারুচিনি মিশ্রিত গরম পানির বাষ্প নাকে নিতেন তারা।এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা, করোনা জয়ী ডা. আবদুর রহমান মুসা বলেন, মনোবল ঠিক রেখে সচেতন হলেই করোনা থেকে মুক্তি সম্ভব। খোদার রহমতে ১৪ দিনে আমি করোনা খেকে মুক্তি পেয়েছি। এজন্যে আমাকে নিয়মিত কুসুম গরম জল খেতে হয়েছে। সেবন করেছি জি ম্যাক্স, অক্সিকোইন, সিভিট, ভিটামিন ডি ও জিংক জাতীয় ট্যাবলেট। দিনে ২/৩ বার বাষ্প নিয়েছি গোলমরিচ, লং, আদা, তেজপাতা ও দারুচিনি মিশ্রিত গরম পানির।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল