ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইংল্যান্ডে আর জাতীয় লকডাউন দিতে চান না বলছেন। দ্য সানডে টেলিগ্রাফে তিনি এ কথা বলেন। তিনি মনে করেন না, ওমন একটা পরিস্থিতি আবারো ব্রিটেনে তৈরি হবে। ইংল্যান্ডে কাউন্সিলগুলোতে লকডাউনের অধিকার দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। নতুন ক্ষমতার অধীনে স্থানীয় সরকার দোকান বন্ধ, অনুষ্ঠান বাতিল এবং জনপরিসর বন্ধ করতে পারবে।
এদিকে, নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণার তথ্য হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হানা দেয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়ার হ্যাকাররা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা সেবা বিভাগের একদল কর্মী করোনা ভ্যাকসিন গবেষণায় রুশ হ্যাকারদের হানার চেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) বলছে, এই হ্যাকাররা ‘প্রায় নিশ্চিতভাবেই’ রাশিয়ার গোয়েন্দা সেবা বিভাগের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য চুরির চেষ্টা করতে ম্যালওয়ার ব্যবহার করছে হ্যাকাররা।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটিতে শীতকালেই শুধু লক্ষাধিক মানুষ মারা যেতে পারে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে। রয়টার্স জানায়, নয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি হবে শীতকালে। এ সময় দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ শুরু হতে পারে।
জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি মডেল তৈরি করে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেটির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক