দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু এর ছিটেফোটা চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধিকাংশ মানুষের মাঝে নেই। এতে করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের ঢিলেঢালার সুযোগে সাধারণ মানুষের যেন গাছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা মাস্ক ছাড়াই দিব্যি চলাচল করছেন।
জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরের বাইরে গেলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাদের মাঝে একধরনের উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও বিয়ে ও বনভোজনসহ নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমাগম বেশি হওয়ায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয়া হলেও তা পুরোপুরি না মেনে লোক সমাগামের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
এদিকে, স্ব্যস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নো মাস্ক, নো সার্ভিস লেখা থাকলেও খোদ বিক্রেতারাই মাস্ক ছাড়াই বেচাকেনা করছে। অন্যদিকে রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার ও জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে মানুষের চলাফেরা অনেকটাই করোনা পূর্ব স্বাভাবিক সময়ের মতোই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থায় যদি যথাযথ স্ব্যস্থ্যবিধি অনুসরণ না করা হয় তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে এবং তার বিরুপ প্রভাবও হবে বহুমুখী। এখনও আক্রান্তদের অসাবধানতামূলক আচরণ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে বহুগুণে। তাই সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নেই।
চিকিৎসকদের মতে, বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ সংক্রমণ বর্তমানে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্ব এ মুহুর্তে মেনে চলা জরুরি।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চোধুরী বলেন, সরকার করোনা প্রতিরোধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিকভাবে মেনে চললে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা আমাদের জন্য সহজ হবে। এজন্য সরকারের সাথে জনগণকেও করোনা প্রতিরোধ ভূমিকা রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
অপরদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, গত ১০ মার্চ জেলাকে করোনামুক্ত করার পরদিনই আবারও করোনা রোগী বাড়তে থাকে। বর্তমানে জেলায় ২৪ জন করোনা রোগী রয়েছে। তাই এ মুহুর্তে জেলা প্রশাসন প্রচারাভিযানের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো জরুরী হয়ে পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ