চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে করোনার প্রার্দুভাব। প্রতিদিন করোনায় মৃত্যু এবং আক্রান্ত হচ্ছেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ংকর হিসেবে রূপ নিচ্ছে সারাদেশে। করোনার রোগীর তুলনায় চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে সিসিও, আইসিও ব্যবস্থা না থাকায় সংকটে রোগীর স্বজনরা কষ্টের মধ্যেই দিনাতিপাত করছেন।
অন্যদিকে, প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা করোনায় সচেতনতায় মাঠে কাজ করছেন। সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের শাস্তিও। তবে নিয়ম মেনেই শুক্রবার থেকে চট্টগ্রামে সীমিত পরিসরে খুলেছে বিভিন্ন দোকান-মার্কেটগুলো।
শুক্রবারের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ জনের। শনাক্তের সংখ্যা ৩৮০ জন। সবমিলে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্য ৪৩ হাজার ৫’শ জনের উপরে এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৪০৯ জন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৭টি ল্যাবে ১ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতিতে জনসচেতনতায় প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করছেন প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা। পৃথকভাবে প্রশাসনের টিম নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সচেতনতাসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে চলমান কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য প্রশাসন মাস্ক পরার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তাছাড়া সবকিছু বিবেচনা করে দোকান-মার্কেট সীমিত পরিসরে খোলা রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর বাইরে জেলাতেও করোনা সচেতনতায় প্রশাসন কাজ করছেন। হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্নস্থানে প্রতিদিনই সাধারণ মানুষদের মাস্ক নিশ্চিত করণেও কাজ করা হচ্ছে। বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বজায় রাখতে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় গণপরিবহন চলাচল করার কথা থাকলেও সরজমিনে দেখা যায় কিছু চালক সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাত্রী পরিবহন করছে। একই সঙ্গে মাস্ক না পরার কারণেও দণ্ড দেয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন