করোনা নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। চাঁদপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। রিকশায় একজন যাত্রী বহন ছাড়া অন্যন্য বাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। তবে অনেকেই বিধিনিষেধের বিষয়টি অবগত না হওয়ার কারণে অন্যান্য দিনের ন্যায় প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে পড়েন। যার কারণে শহরের সড়কগুলোতে লোকজনের সংখ্যা বেশিই ছিল। তবে বিপনী-বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় শহরের পালবাজার গেট, কোর্ট স্টেশন, শপথ চত্বর, নতুন বাজার মোড়, মিশন রোড মোড় ও বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে পুলিশকে কাজ করতে দেখা গেছে। রিকশায় দু’জন হলে একজন যাত্রীকে নামিয়ে দিচ্ছে। মোটরবাইকেও একজনের বেশি যেতে দেয়া হচ্ছে না। নিয়ম অমান্য করে আসা রোগী ছাড়া ইজিবাইক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ কিছু অটোরিকশা আটক করে স্টেডিয়ামের মাঠে রেখেছে।
শহরের কালিবাড়ী এলাকার রিকশা চালক মিজান জানান, অটোরিকশার কারণে আগে রিকশায় যাত্রী কম উঠতো। তবে আজকে যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি।
রিকশা যাত্রী খোদেজা বেগম বলেন, বাসা থেকে অটোরিকশা ৫ টাকার ভাড়া, এখন তিনি রিকশায় চড়ে ৩০ টাকা দিয়ে এসেছেন। কোনভাবেই ভোগান্তি কমছে না। প্রয়োজনীয় কাজে বাধ্য হয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শহরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। লকডাউন চলাকালীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যহত থাকবে বলে মাইকে জানানো হয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায় বলেন, সরকার লকডাউন বাস্তবায়নে যে বিধিনিষেধ দিয়েছে, তা সবাই জানেন। রিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন চলতে পারবে না। মার্কেট বন্ধ থাকবে। তারপরেও আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে, অনেকেই তা বুঝতে পারছে না। আশাকরি পরিস্থিতি বুঝে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। নিষেধ থাকায় আমরা যেসব গাড়িগুলো শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না, সেগুলো এরপর আর বের হবে না বলে মনে করছি। গণমাধ্যমসহ সকলকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ