কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন রাজশাহীতে ভারি বর্ষণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। কঠোর লকডাউনের ওপর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে রাজশাহীর রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। তবে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর আছেন। বৃষ্টির কারণে লোকজন বাইরে বের না হওয়ায় তাদের বেগ পেতে হয়নি।
দুপুরের পর বৃষ্টি না হওয়ায় সড়কে কিছু সাধারণ মানুষ দেখা গেছে। তবে তাদের বাড়িতে যেতে বাধ্য করেছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গলিপথগুলোতেও ছিল সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল। নগরীর সবগুলো প্রবেশপথে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টায় রাজশাহীতে বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত নয় ঘণ্টাতেই ৮৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছিলই। দুপুর ২টার দিকে নগরীতে বৃষ্টিপাত থেমে আসে। তবে আকাশ মেঘলা ছিল।
আবহাওয়া অফিসের হিসাবে, ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারি বর্ষণ বলা হয়। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে এই ধরণের বৃষ্টিই হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আনোয়ারা খাতুন।
এদিকে ভারি বর্ষণ ও কঠোর লকডাউনের ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগরীতে মানুষের চলাচল দেখা যায়নি। রোগী নিয়ে দু’একটি রিকশা হাসপাতালের দিকে গেলেও অন্য কোনো যানবাহনও দেখা যায়নি। তবে বৃষ্টি ভেদ করে রাস্তায় টহলে ছিল পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী এবং আনসার সদস্যদের গাড়ি। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে ছিল।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছেন। লকডাউনের প্রথম দিন রাজশাহীতে খুব বৃষ্টি হওয়ায় শহর ফাঁকা আছে।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে শুরু হয় বিশেষ বিধিনিষেধ। এরপর ১৬ জন থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ছিল সেই লকডাউনের সময়সীমা। এরপরই রাজশাহীসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর