ধরুন আপনি অফিসে জরুরী মিটিংয়ে ব্যস্ত। ঠিক এমন সময় বাসা থেকে গিন্নীর মেজাজি ফোন, রান্নাঘরের সিংক ভেসে গেছে। পানি জমে গেছে ফ্লোরেও। এখনই প্লাম্বার লাগবে। আপনার অবস্থা তখন জলে কুমির, ডাঙায় বাঘের মতো অবস্থা হবে, তা বুঝতে জ্যোতিষী হওয়া লাগে না। কিংবা এমনও তো হতে পারে, নতুন বাসা নিয়েছেন কিন্তু ফ্যানের সুইচ কিংবা এসি ইনস্টল করার জন্য ঘুরতে হচ্ছে দক্ষ ইলেক্ট্রিশিয়ানের পিছনে। মনমতো তো তা পাওয়ায় যাচ্ছে না, যাও পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তাদের নবাবী চাহিদা আর নানান শর্তের ফাঁকফোকরে আপনি হচ্ছেন গলদ্ঘর্ম।
শুধু বাসাবাড়িই নয়, অফিস কিংবা যে কোন প্রতিষ্ঠানেও সময়মতো এসব প্লাম্বিং, এসি বা ইলেক্ট্রিকের দক্ষ টেকনিশিয়ান খুঁজতে গিয়ে আমাদের বিড়ম্বনার মাঝে পড়া যেন এক সহজাত নিয়তি। তাইতো, 'মিস্ত্রি মামা' নিয়ে এসেছে সহজ সমাধান। চারিদিকে শত মামার ভিড়ে 'মিস্ত্রি মামা' আপনার যে কোন যান্ত্রিক সমস্যা সমাধানে প্রশান্তির কারণ হবেই। প্লাম্বিং, ইলেক্ট্রিসিক্যাল, সিসিটিভি, আইটি, জেনারেটর এবং এসি'র যে কোন ধরণের সার্ভিসিংয়ের কাজ মিস্ত্রি মামা করে থাকে অভিজ্ঞ টেকশিসিয়ানের মাধ্যমে।
অফিস কিংবা বাসার উল্লেখিত সার্ভিসিংয়ের জন্য বাজারের সাধারণ মিস্ত্রির মতো পারিশ্রমিক নিয়ে ইঁদুর দৌড়েরও প্রয়োজন নেই। কারণ মিস্ত্রি মামা কাজ করেন একেবারে প্রাথমিক ধাপ থেকে। আপনার বাসা কিংবা অফিসের যন্ত্রটির অবস্থা বুঝে আপনাকে তারা জানিয়ে দেয় আর্থিক বিষয়টিও। তারপর আপনি রাজি হলেই শুরু হয় সার্ভিসিংয়ের কাজ। এক্ষেত্রে যে কোন সার্ভিসিংয়ে মিস্ত্রি মামা আপনাকে দেবে ৭ দিনের ওয়ারেন্টি।
২০১৮ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা মিস্ত্রি মামা এই মুহূর্তে রাজধানীর বনানী, মহাখালী, বারিধারা এবং মিরপুরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাদের কর্মক্ষেত্রের পরিধি। দক্ষ টেকনিশিয়ান, সঠিক ব্যবস্থাপনা, আকর্ষণীও মূল্য, ছুটির দিনে ইমার্জেন্সি সার্ভিসিং, সার্ভিস ওয়ারেন্টি; সবকিছু মিলেই মিস্ত্রি মামার কাজের চাহিদা বেড়ে চলেছে প্রতিদিন।
মিস্ত্রি মামার কার্যক্রম প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ সাদী আব্দুল মজিদ বলেন, 'আমরা শুরু থেকেই গ্রাহকদের জন্য সেরা সার্ভিস নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর। আমি মনে করি মিস্ত্রি মামার ধারণাটা বাংলাদেশে একেবারে নতুন, একই সঙ্গে যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ততায় জীবনকে সহজ করতে মিস্ত্রি মামা বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। কোন যন্ত্র নষ্ট হলে তা মেরামত করতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে আমরা যেসব টেকনিশিয়ান কাজে লাগায়, তারা অনেক সময় আমাদের সঠিক সার্ভিস দিয়ে থাকে না। শুধু তাই নয়, দক্ষ একজন টেকনিশিয়ান খুঁজে পাওয়াও অনেক কঠিন ব্যাপার। আবার কাজ শেষে, পোস্ট সার্ভিসিং কোন প্রয়োজনে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া আর খড়ের গাঁদায় সূচ খোঁজা একই কথা। এই সবকিছু চিন্তা করেই আমরা মিস্ত্রি মামার আয়ডিয়াটি নিয়ে এসেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ধারণাকে বাস্তব করতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সেখানে এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার রয়েছে। চাইলেই যে কেউ মিস্ত্রি মামার ওয়েবসাইটে এসে কিংবা ফোন করে অর্ডার প্লেস করতে পারে। সাথে সাথে আমাদের দক্ষ টেকনিশিয়ান সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে গ্রাহকের সমস্যা সমাধান করতে কাজ শুরু করবে। আমরা শুধু সার্ভিস দিয়েই হারিয়ে যাই না। আমরা প্রতিটি সার্ভিসিংয়ে এক সপ্তাহের ওয়ারেন্টি দেই। আমি মনে করি, মিস্ত্রি মামা শহুরে জীবনকে সহজ করতে দারুণ একটি ভাবনা।
যন্ত্রের যন্ত্রণা দূর করতে গিয়ে দেশের জাতীয় অর্থনীতি এবং বেকারত্ব দূরীকরণে মিস্ত্রি মামা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অদক্ষ টেকনিশিয়ানদের নিজ খরচে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন যন্ত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং সেগুলোর সার্ভিসিং নিয়ে হাতেকলমে কাজ করায়। যে কারণে, মিস্ত্রি মামার প্রতিটি টেকনিশিয়ান লেটেস্ট টেকনোলজির সাথে পরিচিত। তাতে করে যে কোন ধরণের যন্ত্র মেরামতে তারা সবার চেয়ে এগিয়ে। পুরো প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে মিস্ত্রি মামা নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করছে এবং দেশের জন্য দক্ষ কর্মী গড়ার কাজে অংশগ্রহণ করছে।
চাইলে আপনিও আজই আপনার বাসা কিংবা অফিসের যান্ত্রিক সমস্যায় কল করতে পারেন মিস্ত্রি মামাকে। আর আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন মিস্ত্রি মামার ফেসবুক পেজে। অর্ডার প্লেস করতে ভিজিট করুন www.mistrimama.com- এই ঠিকানায়। শত মামার ভিড়ে, মিস্ত্রি মামা আছে আপনার পাশে সবসময়।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ