বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের ব্যবহার বিলাসিতা নয় বরং অনেকটাই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিস্ময়কর এ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য সংগীতে পরিণত হয়েছে। ক্যালেন্ডারে কাজের বিবরণ লেখা থেকে শুরু করে কল করা, ইমেইল পাঠানো, গান ও ভিডিও কন্টেন্ট উপভোগ করা, প্রিয় টিভি শো দেখা, অনলাইন গেমিং ও পছন্দের মুহূর্তগুলো ধারণ করতে স্মার্টফোনের জুড়ি নেই। এ সকল কাজ মুহূর্তের মধ্যে সম্পাদন করতে স্মার্টফোনে চাই চমৎকার ডিসপ্লে, ক্যামেরা ও সহজে বহনযোগ্যতার জন্য স্লিম ডিজাইন।
মোবাইল ফটোগ্রাফিতে বরাবরই নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছে গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। সম্প্রতি ব্র্যান্ডের রেনো সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন রেনো ফোরে আছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা, ৯০.৭ শতাংশ অ্যাস্পেক্ট রেশিওর ২৪০০*১৮০০ এফএইচডি ডিসপ্লে, উন্নত এআই স্মার্ট সেন্সরসহ দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করার জন্যে আরও অনেক কিছু। ৬.৪৩ ইঞ্চির ৬০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট এবং নান্দনিক বাঁকানো ডিজাইনের ডিসপ্লেতে বিনোদন হবে আরও আনন্দময়।
রেনো ফোরের কোয়াড এআই ক্যামেরা সেটাপে আছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের মনোক্রোমাটিক লেন্স। প্রতিটি লেন্স স্বতন্ত্রভাবে চমৎকার সব ছবি তুলতে পারদর্শী।
ক্যামেরার কালার পোর্টেট ফিচারে সাদাকালো পটভূমিতে শুধুমাত্র পোর্টেটের ব্যক্তিটিই রঙিন থাকবে। এর ফলে শুধুমাত্র ছবির মূল বিষয়বস্তুর ওপরেই থাকবে সবার নজর। নাইট ফ্লেয়ার পোর্ট্রেট মোডে অল্প আলোয় মাত্র এক ক্লিকেই ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লারের সাথে অসাধারণ পোর্ট্রেট তোলা যাবে।
এছাড়া এই চোখ ধাঁধানো ফিচারে রাতের উজ্জ্বল ব্যাকগ্রাউন্ডেও ধারণ করা যাবে সুন্দর সব চমৎকার ছবি। ফ্রন্ট শুটার হিসেবে রেনো ফোরে ৩২ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড সেলফি ক্যামেরায় নিখুঁত সব সেলফি তোলা যাবে। সামনে এবং পেছনের উভয় ক্যামেরায় এআই কালার ভিডিও থাকায় অগোছালো পটভূমিতেও শুধুমাত্র প্রধান বিষয়বস্তুর ওপর ফোকাস করে ভিডিও করা যাবে। সেকেন্ডে ৯৬০ ফ্রেমের এআই স্লো-মোশনে বিশ্বকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারবেন। উভয় ক্যামেরা সেটাপে আল্ট্রা স্টেডি ভিডিও ৩.০ থাকায় খালি হাতে উঁচুনিচু স্থানেও চমৎকার দৃঢ়তার সঙ্গে ভিডিও শুট করা হবে আরও স্বাচ্ছ্যন্দময়।
দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করতে রেনো ফোরে আছে অত্যাধুনিক এঅন (এআই-এনহ্যান্সড স্মার্ট সেন্সর)। এর চমৎকার 'এয়ার কন্ট্রোল' নামক জেসচার/ অঙ্গভঙ্গি কন্ট্রোলের মাধ্যমে ফোন স্পর্শ না করেই বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করা যাবে ও ফোন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, যেমন ফোনের ডিসপ্লে স্পর্শ না করেই ফোন কল ধরা বা প্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস ব্রাউজ করা। রেনো ফোরে আছে স্মার্ট স্পাইং প্রিভেনশন, যার ফলে একটি উন্নত গোপনীয়তা স্তরের মাধ্যমে ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য কেউ প্রয়োজনীয় কোন ম্যাসেজ দেখতে পারবে না।
বর্তমান সময়ে কাজ এবং বিনোদনের জন্যে অনেকেই স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্যে রেনো ফোরে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি প্রসেসর। অলরাউন্ড হাই-টেক অপটিমাইজেশনের জন্যে আছে অ্যাড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ এবং ৮ গিগাবাইট র্যাম। ১২৮ গিগাবাইটের ইন্টারনাল স্টোরেজের ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অপোর নিজস্ব কালারওএস ৭.২। দীর্ঘক্ষণ স্ম্যাটফোন ব্যবহারের জন্যে এতে আছে ৪,০১৫ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
শক্তিশালী ডিভাইজ হওয়া সত্ত্বেও রেনো ফোর মাত্র ৭.৭ মিলিমিটার পাতলা ও ওজনে মাত্র ১৬৫ গ্রাম। চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের ফোনটি শুধু মানুষের নজরই কাড়বে না বরং হয়ে উঠবে তরুণদের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। ডুয়াল পাঞ্চ-হোল ডিজাইনে ফ্রন্ট ক্যামেরা ছোট জায়গা নেওয়ায় তা এক নান্দনিকতার সৃষ্টি করেছে। মহাকাশের চমৎকার আঁধারে ছড়িয়ে থাকা নানান আলোর প্রতিফলনের সৌন্দর্যে উজ্জীবিত নজরকাড়া ‘স্পেস ব্ল্যাক’ এবং ছায়াপথের তারার মহিমায় অনুপ্রাণিত ‘গ্যালাকটিক ব্লু’ এ দুই অবিশ্বাস্য রঙে রেনো ফোর এখন বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে মাত্র ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
অপো
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপোর ক্রেতাদের শিল্প ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মিশেলে তৈরি পণ্য সরবরাহের জন্যে একটি নিবেদিত প্রতিষ্ঠান। তারুণ্য, নতুন ট্রেন্ড/প্রবণতা সৃষ্টি আর সৌন্দর্যের প্রতীক একটি ব্র্যান্ড হিসেবে ডিজিটাল জীবনযাত্রার আরও অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে অপো বরাবরই তার গ্রাহকদের জন্যে নিয়ে আসে সর্বোত্তম সেবা দিতে সক্ষম ইন্টারনেট অপটিমাইজড প্রোডাক্ট।
এই ব্র্যান্ডের হাত ধরেই সূচনা হয় ‘সেলফি বিউটিফিকেশন’এর এক নতুন যুগ। স্মার্টফোন জগতে নিজেদের এক ভিন্ন ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অপো’ নিয়ে এসেছে ‘মোটোরাইজড রোটেটিং’ ক্যামেরা, আল্ট্রা এইচডি ফিচার, ৫এক্স ডুয়াল ক্যামেরা জুম প্রযুক্তি। ২০১৬ সালে ‘অপো’র সেলফি-বিশেষজ্ঞ খ্যাত ‘এফ’সিরিজ বাজারে আসার পরপরই স্মার্টফোন জগতে সেলফি তোলার প্রবণতা সৃষ্টিতে অগ্রগ্রামী ভূমিকা রাখে অপো।
২০১৭ সালে আইডিসির তথ্য অনুসারে অপো বিশ্বের চতুর্থ সেরা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়। বর্তমানে ৪০টি দেশে ২০ কোটির অধিক গ্রাহক আর ৪,০০,০০০ এর অধিক স্টোর আর বিশ্বজুড়ে ৪টি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মিশেলে বিশ্বজুড়েই তরুণদের স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে সর্বোৎকৃষ্ট অভিজ্ঞতা দিয়ে চলেছে অপো।
বিডি প্রতিদিন/এমআই