২২ জুন, ২০২২ ১৬:৩০

হাটে না ঘেঁটে, গরু কিনুন নেটে

অনলাইন ডেস্ক

হাটে না ঘেঁটে, গরু কিনুন নেটে

কোরবানির হাটে গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া অনেক সময়ই খামারিদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ফলে সারাবছর পরম যত্নে গরু লালন-পালন করে, সঠিক দাম না পেয়ে হতাশ হতে হয় অসংখ্য খামারিকে। তাছাড়াও জায়গা ভেদে মধ্যস্থতাকারী থাকার কারণে গরু বিক্রির পর লাভ পান অতি সামান্য। বছরের পর বছর এই সমস্যা যেন খামারিদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।

খামারিদের এই সমস্যা সমাধানে আদর্শ প্রাণিসেবা কাজ করছে ভিন্ন আঙ্গিকে। খামারিদের জন্য তারা এনেছে ‘যৌথ খামার প্রকল্প’। এর আওতায় অ্যাপের মাধ্যমেই গবাদি প্রাণির লালন-পালন থেকে ক্রয়-বিক্রয়-সবকিছুই সম্পন্ন হচ্ছে। এভাবে খামারিদের মুখে হাসি ফুটিয়ে, দেশে খামারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে আদর্শ প্রাণিসেবা।

আদর্শ প্রাণিসেবার কর্মকর্তারা জানান, বিনিয়োগকারীর টাকা দিয়ে তারা নিজেরা বাছাই করে গরু কিনেন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ান-এর তত্ত্বাবধানে। প্রথমেই আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গবাদিপ্রাণিগুলোকে আনা হয় বীমা সেবার আওতায়। তারপর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও যেকোনো ধরনের রোগ এড়াতে, গরুগুলোকে টিকা ও ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর পাঁচ থেকে ছয় মাস গরু লালন-পালনের সময় প্রাণিসেবা ভেটের চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন।

লালন-পালনের সময় গরুগুলোর চিকিৎসার খরচ বহন করে প্রাণিসেবা ও ওষুধের খরচ খামারি। গরুগুলো যখন বিক্রি করা হয়, তখন লাভের ৬০ শতাংশ দেওয়া হবে খামারিকে। এর ফলে প্রান্তিক খামারিরা গরু না কিনেই শুধু লালন-পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, আদর্শ প্রাণিসেবা খামারিদের থেকে সরাসরি আঞ্চলিক হাটের পাশাপাশি, অনলাইনেও ক্রেতাদের কাছে গরু বিক্রি করে থাকে। যার ফলে কোনো মধ্যস্থতাকারী না থাকায় খামারিরা সর্বোচ্চ লাভ পেয়ে থাকে।

আদর্শ প্রাণিসেবার কর্মকর্তারা বলেছেন, এবারের কোরবানি ঈদ ২০২২-কে সামনে রেখে প্রাণিসেবা যৌথ খামার প্রকল্পের আওতায় থাকা গরুগুলো বিক্রি করা হবে প্রাণিসেবা শপের (pranishebashop.com.bd/qurbani_haat) মাধ্যমে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর