প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করতে জিএসএমএ নীতিমালা অনুসরণে অঙ্গীকার করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। বাংলাদেশ থেকে এই প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান এই নীতিমালা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলো। এই অঙ্গীকার সকলের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ইতিবাচক ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে উদ্ভাবন ও বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোবাইল ইকোসিস্টেমকে একত্রিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জিএসএমএ।
জিএসএমএ নীতিমালা তিনটি মূল স্তম্ভের (পিলার) ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে – (১) প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ; (২) প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বান্ধব সেবা কীভাবে তৈরি করা যাবে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা; এবং (৩) উদ্ভাবনের মাধ্যমে সবার জন্য উপযোগী পণ্য এবং পরিষেবা ডিজাইন করা।
এই নীতিমালার সাথে একাত্মতা প্রকাশের মাধ্যমে, বাংলালিংক বিশ্বব্যাপী চলমান এই প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হলো। ফলে, আগামী দিনেও সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পণ্য এবং পরিষেবা তৈরি, প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নির্বিশেষে সকলে যেন ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাংলালিংকের সিইও ইউহান বুসে বলেন, “আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি যে, ডিজিটাল পরিষেবা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতা সকলের মৌলিক অধিকার হওয়া উচিত। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যেন সম্ভাবনার পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে, ডিজিটাল রূপান্তর যেন সকলকে উপকৃত করে তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ আমরা। জিএসএমএ-এর নীতিমালার প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই পথচলার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ডিজিটাল বিশ্বে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে এমন বাধা ভেঙে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। এই প্রতিশ্রুতি কেবল প্রতীকী নয়; বরং এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এই ইকোসিস্টেমে ডিজিটাল সেবা সকলের জন্য আরও সহজলভ্য হবে এবং উন্নত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ডিজিটাল রুপান্তরের সুফল সবাই সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।”
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ওয়েব অ্যাক্সেসিবিলিটি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি এর ওয়েবসাইট নতুনভাবে ডিজাইন করেছে। এছাড়া, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে অফিস প্রাঙ্গণ এবং দেশজুড়ে অবস্থিত গ্রাহকসেবা কেন্দ্রগুলোতে র্যাম্প স্থাপন করেছে বাংলালিংক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত বিভিন্ন ক্যাম্পেইন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলালিংক। এরই ধারাবাহিকতায় প্রয়াস-এর সহযোগিতায় ডিজিটাল ক্লাসরুম ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করছে বাংলালিংক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়ক প্রযুক্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা খাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন