শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পাঁচ জেলায় বন্যা ভাঙন দুর্বিষহ জনজীবন

প্রতিদিন ডেস্ক

সুনামগঞ্জে পাঁচটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হল— সুনামগঞ্জ সদর, দোয়রাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও শাল্লা। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন পাঁচ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। গতকাল সন্ধ্যায় সুরমা নদীর পানি বিপত্সীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ২৭ সেন্টিমিটার। জেলা সদরের সঙ্গে অনেক উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গবাদিপশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে দোয়ারাবাজার-ভোগলা সড়কের অনেক স্থানে শুরু হয়েছে ভাঙন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান জানান, বন্যাকবলিত পাঁচ উপজেলায় পাঁচ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নগদ পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আরও ত্রাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে ২৪ ইউনিয়ন বন্যাকবলিত : সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের ২৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় শিক্ষর্থীদের পড়াশোনা বিঘ্ন ঘটছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চৌহালীর এনায়েতপুরে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এনায়েতপুরে বামন গ্রামের গত কয়েকদিন নদীতে বিলীন হয়েছে শতাধিক বসতভিটা। গাইবান্ধা : তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট অববাহিকার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। নদী ভাঙনে অন্তত ৫০০ পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছে। সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়া মৌজায় তিস্তা নদীর বাম তীর বেড়িবাঁধের ২০০ মিটার ধসে যাওয়ায় আরও কয়েকটি মৌজায় নতুন করে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লখিয়ারপাড়া গ্রামের আজগর আলী (৬০) বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন। ধুনটে স্পারে ধস : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে ঢলে ধুনটে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বানিয়াজান স্পার আবারও ধসে গেছে। গতকাল ভোরে নদীতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ওই স্পারের ৬০ মিটার স্যাংক ধসে যায়। লালমনিরহাট : তিস্তা ও ধরলা নদীর বন্যা ও ভাঙনে লালমনিরহাটে দেড় শতাধিক পরিবার নিস্ব হয়ে পড়েছে। বসতভিটা, আবাদি জমি হারিয়ে পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে তিস্তার বাঁধসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে।

সর্বশেষ খবর