বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বেকার হওয়ার পথে ৬৫ হাজার পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযান চালায় জেলা প্রসাশন। অভিযানকালে বোমা মেশিনের সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাথর উত্তোলনের জন্য সেচকাজে ব্যবহৃত শ্যালোইঞ্জিনও। ফলে পাথর উত্তোলন প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন এ কাজে নিয়োজিত জেলার ৬৫ হাজার শ্রমিক। জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘সমতল ভূমি কেটে পাথর উত্তোলন করা নিষিদ্ধ। মাটি কেটে পাথর উত্তোলন করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। পরিবেশজনিত বৃহত্তর স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাটি খনন করে পাথর উত্তোলনের কাজে পানি ছেঁকে ফেলার জন্য শ্যালোমেশিন ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন পঞ্চগড়ের মাটিকাটা এবং পাথর উত্তোলনের শ্রমিকরা। মানববন্ধনে শ্রমিকরা বলেন, কয়েকযুগ থেকে মাটির উপরিভাগ কেটে ২০-২৫ ফিট গভীর থেকে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন এলাকার প্রায় ৬৫ হাজার শ্রমিক। মাটির গভীর থেকে কোদাল ও লোহার জালের মাধ্যমে পাথর উত্তোলনের সময় খাদে জমা পানি নিষ্কাশনের জন্য শ্যালোমেশিন ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করলে জেলা প্রশাসন এসব বোমা মেশিন বন্ধে অভিযান শুরু করে। বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও প্রশাসনের ভুল বুঝাবুঝির কারণে মাটি খনন করে পানি ছেঁকার ছোট আকারের মেশিনগুলোও এই অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে মাটি কেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্ক দেখা দিয়েছে। শ্রমিকরা জানান, সামনে ঈদ। এ মুহূর্তে পাথরের সাইড বন্ধ হওয়ায় কুলকিনারা পাচ্ছেন না তারা। পাথর শ্রমিক আবদুল জলিল জানান, মাটি কেটে পাথর উত্তোলনে বোমা মেশিন ব্যবহার হয় না। পানি ছেঁকে ফেলার জন্য ছোট আকারের মেশিন ব্যবহার হয়। এসব মেশিনের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি। ঈদের সময় কি করব বুঝতে পারছি না। পাথর উত্তোলন ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ জানান— ১৫ থেকে ২০ ফিট মাটির গভীর থেকে পাথর উত্তোলনের সময় পানি ছেঁকে ফেলতে হয়। যার জন্য ব্যবহার হয় ছোট আকারের মেশিন। এগুলো বোমা মেশিন নয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শ্যালোমেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করতে না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশয়ারি দেন মানববন্ধনকরীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।

সর্বশেষ খবর