শিরোনাম
শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

৩৯৮ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

পটুয়াখালীতে আতঙ্কে শিক্ষার্থী অভিভাবক, পাঠদান ব্যাহত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী জেলায় এক হাজার ২২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে ৩৯৮টি ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিনেও এ সব ভবন সংস্কার কিংবা মেরামত হয়নি। ফলে ৮০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে এ সব স্কুলে লেখাপড়া করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি ভবন জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণের উদ্যোগও নিলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে অধিকাংশে।

জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্তের ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকানুযায়ী সদর উপজেলায় ৮১, কলাপাড়া ৬২, গলাচিপায় ২৮, দশমিনায় ৫৩, বাউফলে ৮২, মির্জাগঞ্জে ৫৪, দুমকিতে ২৩ এবং রাঙ্গাবালীতে ২১টি বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে কোনো কোনো ভবন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান করাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অনেক ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পরে রড বেরিয়ে গেছে। দরজা জানালা খুলে পরেছে। কোথাও ছাদের ভীমে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুঁইয়ে পড়ে পানি। যে কোনো মুর্হুতে এ সব ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরাও থাকেন উৎকণ্ঠায়।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জিনাত জাহান জানান, তার উপজেলার সাতটি বিদ্যালয় ভবন খুবই ঝুকিপূর্ণ। এ সব বিদ্যালয়ের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার পাঠানো হয়েছে। কিছু ভবনের টেন্ডারও হলেও কাজ শুরু হয়নি। সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, কিছু বিদ্যালয় ভবনের টেন্ডার হয়েছে। কাজ এখনও শুরু হয়নি। আমি যোগদান করার পর ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের টিনসেড ঘর (ছাপড়া ঘর) তৈরি করে ক্লাশ নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাইয়াদুজ্জামান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ঘুর্ণিঝড় ফণি’র পর জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা সথাসময়ে বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অনুলিপিও দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর