মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

আমরা তো লাইনে দাঁড়াতে পারবো না!

কুমিল্লা প্রতিনিধি

নীলুফার ইয়াসমিন (ছদ্মনাম)। কুমিল্লা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। আদালতের পাশে ফটোকপির ব্যবসা করেন তার স্বামী। এক মেয়ে টিউশনি করেন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তাদের সবার আয় বন্ধ। মাস শেষ হয়েছে। এখন বাড়ি ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ময়লা নেওয়া, ডিশ বিল, কাজের লোকের বেতন দিতে হবে। করতে হবে বাজার। নীলুফার ইয়াসমিন বলেন, আমরাও দিনমজুরের মতো। আমাদের কোনো সঞ্চয় নেই। রিকশা চালক সাহায্যের জন্য রাস্তায় লাইনে দাঁড়াতে পারলেও আমরা তো তা পারবো না। প্রশাসনকে ফোন দিয়ে বলতে পারবো না আমার ঘরে খাবার নেই। এখনই ধার শুরু হয়ে গেছে। বাকি দিনগুলো কি করবো বুঝতে পারছি না। উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্তের সঞ্চয় থাকে। নি¤œবিত্ত হাত পাতে। কিন্তু নি¤œমধ্যবিত্ত বেশি অসহায়। এ কথা বলে তিনি শূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তার মতো কুমিল্লার আদালতে ১৩ শতাধিক আইনজীবীর অধিকাংশ দিনে আয় করে পরিবার পরিচালনা করেন। একই অবস্থা সাত শতাধিক আইনজীবী সহকারীর। আইনজীবী সহকারী সুরাইয়া বেগম বলেন, আয় বন্ধ হলে পরিবারের চাকা থেমে যায়। পেটে ক্ষুধা আছে আবার চোখেও লজ্জা আছে। কিছু লেখা পড়া করে এই পেশায় এসেছি। আমরা তো হাত পাততে পারবো না। কুমিল্লা আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘আমাদের সাতশর উপরে সদস্য রয়েছে। সবার আয় এক রকম নয়। সবার সঞ্চয়ও নেই। অধিকাংশ দিন আনে দিন খায়। সরকার বা আইনজীবী সমিতি থেকে সহায়তা পেলে তারা উপকৃত হবে। কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মমিন ফেরদৌস বলেন, অনেক আইনজীবী দিনের আয় দিয়ে চলেন। ৭ এপ্রিল আলোচনা করে দেখবো সমস্যাগ্রস্তদের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর