বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

মানবেতর জীবনযাপনে কয়েক হাজার পরিবার

২৪ দিনের টানা বন্ধে বেনাপোল বন্দর বন্ধ

বেনাপোল প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ও ভারত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছে। ফলে বন্দর এলাকার অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ স্থলবন্দরের ওপর জীবিকার জন্য নির্ভরশীল এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার জেরে রোজগারে টান পড়েছে তাদের। স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। সেই সঙ্গে বেকার হয়ে পড়েছে বন্দরসংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক। বেকায়দায় রয়েছে ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির কয়েক হাজার সদস্য। ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ পণ্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আপাতত বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত এলাকার মানুষজন করোনা নয়, রুটি-রুজি হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ভারতে ২১ দিনের লকডাউন ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি। অপরদিকে ভারত সরকার পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জীবাণু যাতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিস্তার করতে না পারে সে জন্য এ বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। ফলে টানা ২৪ দিন বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অপরদিকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও এখন পর্যন্ত তার কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহতের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বাজারে মূল্য বাড়ারও শঙ্কা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য গত ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরে কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে আমাদের হাজার হাজার সদস্য খুব কষ্টের মধ্যে দিনাদিপাত করছেন। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাব বিস্তাররোধে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর