শিরোনাম
শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কাপ্তাই হ্রদে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে মাছ, রাজস্ব আয়ের রেকর্ড

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

কাপ্তাই হ্রদে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে মাছ, রাজস্ব আয়ের রেকর্ড

রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে মাছ। ছাড়িয়েছে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড। গত ১১ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হয়। মাত্র বিশ দিনে হ্রদ থেকে মাছ ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন। রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় দুই কোটি ৭২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন-রাঙামাটি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদ থেকে আহরিত মাছ রপ্তানি করা হয় চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। যার সুফল ভোগ করেন এ অঞ্চলের ২২ হাজার মৎস্যজীবী। চলতি বছরের ১ থেকে আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষিদ্ধ সময় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদফতরের উদ্যোগে এ হ্রদে ছাড়া হয় বিপুল পরিমাণ পোনা। এ পোনা বড় হওয়ার পর মাছ শিকার শুরু হয় গত ১১ আগস্ট। কর্মচাঞ্চল্য ফিরে জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে। এ ব্যাপারে রাঙামাটি ফিশারি ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ ও উদায়ন বড়ুয়া বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছ উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলে মাছের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের অর্থকষ্ট লাঘব হবে। তবে সন্ত্রাসীদের কারণে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার এম. তৌহিদুল ইসলাম (ট্যাজ) বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তারের কারণে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। এ জন্য বিএফডিসির কর্মকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। বন্ধকালীন সময় অবৈধ মাছ নিধনসহ পোনা মাছের রক্ষণাবেক্ষণে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় তাদের।

 এ সময়ে হ্রদের মৎস্য সম্পদ তদারকি করার জন্য ছয়টি মোবাইল মনিটরিং সেন্টার ও ৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়। যার সুফল এখন মৎস্যজীবীরা ভোগ করছেন। রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে ৬৬টি দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। প্রতিবছর এ হ্রদ থেকে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ মেট্টিক টন মাছ আহরিত হয়। তবে এর পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর