ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে কয়েক শ বসতঘর। ভাঙনে ভিটামাটি হারিয়ে নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের দড়িলাপাং, চরলাপাং ও চিত্রীসহ কয়েক গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। দড়িলাপাং ও চরলাপাং গ্রামে গত কয়েক দিনে নতুন করে আরও প্রায় ২০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের দড়িলাপাং, চরলাপাং ও চিত্রীসহ মেঘনার পাড়ের দাসকান্দি, নজরদৌলত, কেদারখোলা, মানিকনগর, সাহেবনগর, নয়াপাড়া, শ্রীঘর, নাসিরাবাদ, সোনাবালুয়া, নুরজাহানপুর, মুক্তারামপুর, ধরাভাংগা গ্রাম মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে প্রতি বছরই নদীভাঙনে ওই সব গ্রামের ফসলি জমি, শত শত ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নতুন করে ভাঙনের খবরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস গত শুক্রবার বিকালে মেঘনা পাড়ের গ্রামগুলো পরিদর্শনে আসেন। তিনি জানান, নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান প্রক্রিয়া। এর মাঝে কিছু অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিছু অংশে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা চলছে। পুরো অঞ্চলের প্রকল্প প্ল্যানিং কাজ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ দিকে। করোনা মহামারী মেরামত কাজের কিছুটা বাধা সৃষ্টি করেছে। আশা করছি আগামী ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।