সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভোলায় ৫২০ গৃহহীন পাচ্ছে মুজিববর্ষের উপহার

জুন্নু রায়হান, ভোলা

ভোলায় ৫২০ গৃহহীন পাচ্ছে মুজিববর্ষের উপহার

ভোলা জেলা সদরের জাহানারা বেগম (৬৫)। স্বামী মারা যাওয়ার পর নদীও নিয়ে যায় তার ঘরভিটা। পাঁচ সন্তান নিয়ে ঠাঁই হয় অন্যের জমিতে। বছরের পর বছর গড়ায়। দিনমজুর ছেলেরাও নিজেরা সংসার পেতে আলাদা হয়ে যায়। এখন ছোট ছেলের আয়ে তার সংসার ঠিকমতো চলে না। এমন সময় খবর পেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বেটি ঘর দেবে। অনেকের মতো তিনিও আবেদন করলেন। লটারিতে ঘরও পেলেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া পাকা ঘ র পেয়ে খুশির সীমা নেই তার। শুধু জাহানারা নয়, তার মতো ভোলা জেলার ৫২০ অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার পাচ্ছেন। মাথা গোঁজার স্থায়ী আবাসন পেয়ে দারুণ খুশি ভূমিহীন হতদরিদ্র সুবিধাভোগী পরিবারগুলো। ভোলায় ৫২০ গৃহহীন পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘর উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীন ওইসব পরিবারের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক নির্মীয়মাণ ঘরগুলো পরিদর্শনে গেলে আনন্দের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ঘর পাওয়া পরিবারগুলো। আগামী ২৩ জানুয়ারি ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের দুই শতাংশ জমির রেজিস্ট্রি দলিলসহ এই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার। এ স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারি খাস জমির ওপর ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আধুনিক আবাস। অসহায় মানুষের মাঝে শুধু ঘর নয়, থাকছে রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।

 ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে নিজেরাই ঘর নির্মাণ করছেন। ফলে কম খরচে ভালো মানের ঘর নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় সদর উপজেলায় ১৮২টি, দৌলতখানে ৪২টি, বোরহানউদ্দিনে ২৮টি, লালমোহনে ২০টি, তজুমদ্দিনে ১৮টি, চরফ্যাশনে ৩০টি এবং মনপুরা উপজেলায় ২০০টি ঘর দেওয়া হবে। ঘরগুলো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর