কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা প্রকাশ করেছে স্থানীয় কৃষি অফিসের দায়িত্বশীলরা। বোরোর বাম্পার ফলনে কৃষকরা খুশি হলেও লকডাউন এবং রমজানের কারণে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা করেছেন। উপজেলার দিশাবন্দ গ্রামের প্রবীণ কৃষক মো আবদুল মান্নান বলেন, আমি গত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর বেশি জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছি। আমার তিন একর জমিতে প্রায় ৩০০ মণ ধান হবে বলে আশা করি। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত কেনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব হওয়ায় কৃষকরা অতীতের তুলনায় ধান চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। সরসপুরের তরুণ কৃষক আনোয়ার হোসেন রিপন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একমাত্র একটি ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে সেটা হলো বোরো ধানের চাষ। প্রতি বছর ন্যায় এ বছর অনেক বেশি বোরো ধানের চাষ করেছি। আমার ৫ একর জমিতে ছয় শত মণ ধান হবে বলে আশা করি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক কৃষক ধানের বাম্পার ফলনে খুশি বলেন জানান। তবে লকডাউন ও রমজানে ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় তারা শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সুজন কুমার ভৌমিক জানান, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে উপজেলার কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সাড়ে ৩ হাজার কৃষকের প্রত্যেককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বোরো ধানের বীজ দিয়েছি। ১ হাজার ১৯৫ জন কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করেছি। উপজেলায় চলতি বছর বোরো ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে তিনি আশা প্রকাশ করেন।