শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ফতোয়াবাজির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ তিন পরিবার

ডিসি-এসপির কাছে প্রতিকার দাবি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ফতোয়াবাজির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ তিন পরিবার

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ছেকনাপাড়া গ্রামে ফতোয়াবাজদের অত্যাচারে তিনটি পরিবারের সদস্যদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সমাজপতি নামধারীরা ওই তিন পরিবারের সদস্যকে ঈদের নামাজ পড়তে দেয়নি। ফতোয়াবাজরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় ইসহাক আলী, রিয়াজুল ইসলাম ও এমাদ উদ্দিনের বাড়িতে এলাকার মানুষ যেতে পারবে না। তাদের সঙ্গে মাল বেচা-কেনা এবং তাদের খেত-খামারে শ্রমিকের কাজ করা নিষিদ্ধ। এই তিন পরিবার ওই এলাকার মসজিদ কমিটির সদস্য আবদুল মতিন ও ইমাম মাওলানা সহিদার রহমানের চক্রান্তের শিকার। ভুক্তভোগীরা নিপীড়নের প্রতিকারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, রিয়াজুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের আবদুল মতিনের পরিবারের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বাইতুল মাকাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সহিদার রহমান জোট বেঁধে ফতোয়া জারি করেন। ফতোয়ার শিকার শত বছরের বৃদ্ধ এমাদ উদ্দিন জানান, ‘আমার বয়স ১০০ বছরের ওপর। এলাকার বাইতুল মাকাম জামে মসজিদের সভাপতির আমার ছোট ভাই। কিন্তু পারিবারিক বিরোধ নিয়ে আবদুল মতিনরা আমার পরিবারকে একঘরে করে রাখে।’ ফতোয়ার শিকার ইসহাক আলী জানান, ‘প্রভাবশালী আবদুল মতিনের সঙ্গে তার পূর্বে বিরোধ ছিল। বিভিন্ন সময়ে এরই জের ধরে ছয় মাস আগে আমার পরিবারের ওপর ফতোয়া জারি করে। এখন এলাকার লোকজন প্রভাবশালীর ভয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলে না। এমনকি মসজিদের চাঁদাও নেয় না। ঈদের নামাজও পড়তে বাধা দেয়।’ অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল মতিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। ইমাম মাওলানা সহিদার রহমান এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানে ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বশেষ খবর