শনিবার, ৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার ‘ভারতীয় ধরন’ আতঙ্কেও থেমে নেই গরু চোরাচালানি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

করোনার ‘ভারতীয় ধরন’ আতঙ্কেও থেমে নেই গরু চোরাচালানি

আতঙ্ক বাড়ছে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) নিয়ে। দ্রুত সংক্রমণশীল করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া রোধে সরকারিভাবে যখন বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ঠিক তখন ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গরু আনায় সক্রিয় চোরাকারবারিরা। জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতি রাতেই ভারতীয় গরু ঢুকছে এমন অভিযোগ সীমান্তবাসীর। ভারতীয় এ গরু পৌঁছে যাচ্ছে উপজেলার লাহিড়ীবাজার, নেকমরদসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা ঠাকুরগাঁওয়ে আসছেন গরু কিনতে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এমন দাবি বিজিবির। জেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। এত কিছুর পরও বন্ধ হচ্ছে না সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ। নাম প্রকাশে না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আসতে পারে। কেন গরু চোরাচালানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের সব সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গরু আসা বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তারা। ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে সীমান্তে করোনাবিষয়ক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। সীমান্তবাসীদের জানানো হয়েছে, কোনোরকম অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করলেই তারা যেন বিষয়টি দ্রুত আমাদের জানান। এ ছাড়া অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে টহল। এসবের পরও আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দু-চারটি গরু চোরাপথে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে সব রকম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গাফিলতি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজিবি ও ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সব পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

সর্বশেষ খবর