শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

পশুর হাটে সিন্ডিকেট হতাশ ক্রেতারা

লক্ষীপুর প্রতিনিধি

পশুর হাটে সিন্ডিকেট হতাশ ক্রেতারা

লক্ষীপুরের একটি গরুর হাটের গতকালের চিত্র -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লক্ষীপুরে শহর ও গ্রামে অর্ধশত পশুর হাটে এখন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঝুঁকি নিয়ে এসব হাটে যাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ ব্যাপারীদের সিন্ডিকেটের কারণে পশুর দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন কেনাবেচা একেবারে কম। বেশির ভাগ মানুষ হাটে ঘোরাঘুরি করছেন। যাদের অনেকে মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অভিযোগ আছে, অবৈধভাবে হাট বসারও। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে তাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। অবৈধ হাট বন্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। 

সরেজমিন লক্ষীপুরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে শত শত মানুষ। কারও মুখে মাস্ক আছে কারও মাস্ক থুঁতনিতে ঝুলছে। খালি মুখে ঘোরাফেরা করছেন কেউ কেউ। ক্রেতারা বলছেন, আগের বারের তুলনায় এবার গরুপ্রতি দাম ১০-২০ হাজার টাকা বেশি চাইছেন ব্যাপারীরা। সিন্ডিকেট করে গরুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। গরু কিনতে এসে হতাশার কথাও জানান কেউ কেউ। দু-একজনকে কেউ গরু কিনে বাড়ি ফিরতেও দেখা গেছে। ব্যাপারীরা বলছেন, যশোর, খুলনা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কিনে আনা ৬০ হাজার থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরু তাদের সংগ্রহে রয়েছে। করোনার কারণে বাজারে ক্রেতা কম বলে জানান তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুরের হায়দারগঞ্জ বাজার, রামগতির বিবির হাট, কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজার ও রামগঞ্জের সোনাপুরসহ বিভিন্ন হাট এবার দেশি গরুর দখলে। ইন্ডিয়ান কিংবা মিয়ানমারের গরু নেই বললেই চলে।

সর্বশেষ খবর