যশোরের ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষের ওপর নির্মিত নতুন সেতুটি এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সেতুর গার্ডারের নিচের অংশ পানি ছুঁইছুঁই অবস্থা। ভরা মৌসুমে পানির স্বাভাবিক চলাচলে তৈরি হবে প্রতিবন্ধকতা। ফলে গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই পাড়ের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। নদীপথে নৌকা চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছার কপোতাক্ষ নদের ওপর বছর দেড়েক আগে পুরনো সেতুর পাশে শুরু হয় ছয় লেনের জন্য দুটি সেতু নির্মাণের কাজ। মাসখানেক আগে একটির নির্মাণ শেষ হলে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি সেতু ১২০ মিটার লম্বা, ১৫ মিটার চওড়া। দুটি করে পিয়ার বা পিলার ও অ্যাবাটমেন্ট ওয়াল এবং ২১টি গার্ডার বা বিম দেওয়া হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু দুটি নির্মাণ করছে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সেতুটি দেখে হতাশ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ভরা মৌসুমেও পুরনো সেতুর নিচ অংশ কখনো নদের পানি স্পর্শ করতে পারেনি। বড় বড় বজরা নৌকা চলেছে ব্যস্ত এ জলপথে। অথচ সামান্য বৃষ্টিতে নতুন সেতুর নিচের অংশ বা তলদেশ পানি ছুঁতে চলেছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা ভরা মৌসুমে সেতু দুটির নিচ দিয়ে কপোতাক্ষ নদে কোনো নৌকা দূরের কথা একটি ডোঙা কিংবা কলা গাছের ভেলাও চলাচল করতে পারবে না। এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, ‘নতুন সেতুটি অনেক নিচে নির্মাণ করায় আমরা আশাহত। সেতুর কারণে নদ নাব্য আরও হারাবে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে পাড়ের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলেন, ‘বন্যা বা প্রবল বর্ষায় ব্রিজের নিচ দিয়ে কোনো কিছু চলাচল করতে পারবে না। ব্রিজের গার্ডারের উচ্চতা কম করায় এমন হয়েছে। নদের গতিপথ ও নৌকা চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে নদ পুনঃখননের বিকল্প আপাতত নেই।’