রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামে পাঁচ দিনে ২ হাজার করোনার টিকার রেজিস্ট্রেশন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে পাঁচ দিনে ২ হাজার করোনার টিকার রেজিস্ট্রেশন

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার প্রত্যন্ত বৈদ্যের বাজার গ্রামের অর্নাস ক্লাবের তরুণরা স্বউদ্যোগে গ্রাম পর্যায়ে করোনার টিকা রেজিস্ট্রেশনের কাজ করছেন। বিশ্বের করোনাকালীন সংকটের সময়ে তারাও নেমেছে এ করোনা যুদ্ধে। ৭টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষের দায়িত্ব নিয়েছে এই তরুণরা। তাদের স্বাস্থ্য সচেনতা থেকে টিকা প্রদানের দায়িত্ব নিয়েছে তারা। স্কুলে ক্যাম্প করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্র্রেশনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। করোনা নিয়ে গুজব ও কুসংসার ভাঙ্গাচ্ছে ঘরে ঘরে গিয়ে। গ্রামের মানুষ তরুণদের কথা শুনছে ও বিশ্বাসও করছে। মত পাল্টিয়ে নিবন্ধন করছে শতভাগ গ্রামবাসী। রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়েনের ৭টি গ্রামে চলছে এক উৎসবের আমেজ। পাঁচ দিনে ২ সহস্রাধিক মানুষের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এসব তরুণ। একদম ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত করোনার সচেনতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। তাদের কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছে জেলা তথ্য অফিস কুড়িগ্রাম। শুক্রবার রাজারহাট উপজেলার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে করোনা টিকা নিবন্ধন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা উপজেলার বৈদ্যের বাজার, ছত্রজিত, রামকাগজী, বানেশ্বর, মিরেরবাড়ী ও গুরুকেষ্ট গ্রামে নিবন্ধন করান ক্যাম্পের মাধ্যমে। অনুসরণীয় এ কাজটি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে এসেছে ওরাকল ক্লাব, দিশারীসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব। পঞ্চাশোর্ধ্ব মিগৃন্দ্রনাথ, মানবেন্দ্ররায় এসেছেন নিবন্ধন ক্যাম্পে এসে জানান, আমরা গ্রামে বাস করি। সারা দিন মাঠে প্রান্তরে কাজ করি । আমাদের ধারণা ছিল করোনা আমাদের হবে না এটা বড়লোকের রোগ। কিন্তু সময় যতই যাচ্ছে আমাদেরও ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামগুলোতে বাড়ি বাড়ি জ¦র দেখা যাচ্ছে।

অর্নাস ক্লাবের তরুণরা আমাদের বুঝিয়েছে আসলে রোগটি কত ভয়ঙ্কর তাই  আমরা টিকার নিবন্ধন করতে এসেছি। বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ চক্রবর্তী জানান, তাদের এলাকায় অর্নাস ক্লাবটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের ক্লাব এটি। তারা ছুটিতে যখনই বাড়িতে আসে তখনই নানা সমাজ উন্নয়নমূলক কাজ করে। ওই ক্লাবের উপদেষ্টা ও উপ-পরিচালক (তথ্য) নুরনবী খন্দকার জানান, এ তরুণরা ৭ দিনের মধ্যে প্রতিটি মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় এনে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। আর যে বয়স্ক মানুষরা রাজারহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে পারবেন না তাদের নিজ দায়িত্বে নিজ এলাকায় ক্যাম্পের মাধ্যমে টিকার ব্যবস্থা করবে। যা সারা দেশের মাইলফলক হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর