মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে তিস্তা চুক্তি করবেন প্রধানমন্ত্রী : শামীম

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

তিস্তা চুক্তি নিয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলোচনা করেই তিস্তা চুক্তি করবেন। প্রধানমন্ত্রী গঙ্গা চুক্তি করেছেন। তিস্তা চুক্তিও বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করে করবেন তিনি। গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ফারাক্কার বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে উপমন্ত্রী আরও বলেন, গঙ্গা চুক্তির মাধ্যমে পানির যে হিস্যা সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারতে প্রবল বন্যা হলে তারা ফারাক্কার বাঁধের গেট খুলে দেয়। এটি আমাদের ভৌগোলিকভাবেই দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি আমরা সমাধান করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জ জেলাকে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার হাত থেকে বাঁচাতে এবং নদীগুলো পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণের জন্যও কাজ করা হচ্ছে।

এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। পরে উপমন্ত্রী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মাণাধীন টুঙ্গিপাড়া হ্যালিপ্যাড, টুঙ্গিপাড়া খাল, বর্নি বাওড় ও পাটগাতী খাল পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মার ভাঙন পরিদর্শন করলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী :

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকালে সদর উপজেলার বরাট ও মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের সুরক্ষার জন্য ব্লক দিয়ে স্থায়ীভাবে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধসে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ সময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এমপি, সালমা চৌধুরী রুমা এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পদ্মা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় গোদারবাজার এলাকায় ড্রেজিং করে কংক্রিট দিয়ে সিসি ব্লক দ্বারা সাড়ে ৪ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হয়। এ বছরের ৩১ মে কাজ শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর