বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

করোনায় সবকিছুর ব্যাঘাত ঘটলেও বোরো ধান আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে আমন রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের কৃষকরা। এ বছর শ্রাবণ মাসের শুরুতে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও কয়েক এলাকার কৃষক সেচের পানি দিয়ে তাদের উঁচু জমিগুলো রোপণ শেষ করেছে। কিন্তু সময়মতো বৃষ্টির পানি না হওয়ায় অনেক স্থানে চারা রোপণ পিছিয়ে গেছে। এরপরেও ফসলের মাঠ কোথাও ফাঁকা নেই। যতদূর দৃষ্টি পড়ে সবুজ আর সবুজ। ফলে সবুজে ভরপুর ফসলের মাঠ। নীল আকাশের সাদা মেঘের ঢেলা। যেন সবুজের গাঢ় রঙ্গে একাকার হয়ে পড়েছে। নতুন সাজে সেজেছে বাংলার প্রকৃতি। বর্তমানে নিচু জমিগুলো থেকেও পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে আমন চারা রোপণ করতে শেষ সময়ে ব্যস্ততায় পার করছেন কৃষকরা। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে, আবারও হেমন্তে নতুন ধানে ভরে উঠবে কৃষকের গোলা। এই প্রত্যাশা আমন চাষিদের। কৃষি বিভাগ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্ষাকালে প্রয়োজনীয় বৃষ্টির দেখা মিলছে না এবার। তবে জেলায় আমন ধানের চারা রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পানির অভাবে অপেক্ষাকৃত উঁচু কিছু জমিতে এখনো আমন চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। কৃষকরা সেচের মাধ্যমে এসব জমিতে চারা রোপণ করছে। অপরদিকে রোপণকৃত জমিতে পানি না থাকায় সেচযন্ত্র ব্যবহার করে কৃষকরা শুকিয়ে যাওয়া আমন ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। কৃষি বিভাগও সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থায় বাড়তি খরচ করে শ্যালো ও বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। ধান বীজ, শ্রমিক এবং শ্যালো ভাড়া মিলে খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়  জেলার প্রান্তিক চাষিরা দুশ্চিন্তায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর দিনাজপুরে চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আমন রোপণের সময়। তবে এখন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে। ফুলবাড়ীর কৃষক নবীউল ইসলাম, মন্টু মিয়াসহ আনেকে জানান, শ্রাবণ মাসের শুরুতেই বিভিন্ন মাঠে কৃষকদের আমন চাষে পদচারণায় উৎসবমুখর ছিল। ফুলবাড়ীর কৃষকরা সাধারণত শ্রাবণ মাসের মধ্যেই আমন ধান রোপণ শেষ করে থাকেন। এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েন তারা, তবে অনেকেই শ্যালো মেশিনের পানি সেচ দিয়ে আমন রোপণ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বীরগঞ্জের শতগ্রাম ইউপির পুলহাট গ্রামের মো. জিল্লুর রহমান জানান, আমন চারা রোপণে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকায় ৭ বিঘা জমি বর্গা নিয়েছি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর