মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সোনা ডাকাত চক্রের আট সদস্য গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় জুয়েলারি থেকে ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি সোনাসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোটও উদ্ধার করা হয়। গতকাল এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন। ডাকাত চক্রের সদস্যরা হলো- স্বপন, আরিফ, আলী, বিল্লাল, আনোয়ার, ফারুক, আফজাল ও আক্তার।

বুধবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারের জুয়েলারিতে ১৮-২০ জনের দল ডাকাতি করে। তারা প্রথমে বাজারের পাহারাদারদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে মুননাগ স্বর্ণ শিল্পালয়, নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয় ও মিল্টন ব্রাদার্সে লুটপাট চালায়। দুটি সোনার দোকান থেকে ১০৮ ভরি সোনা ও ৩০ লাখ টাকা লুটে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পরদিন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামি গ্রেফতারে রবিবার ভোররাত পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা; রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, কামরাঙ্গীর চর, কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার, তাতিবাজার ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট, ৬৯ ভরি সোনার অলঙ্কার, ম্যাগাজিন, পিস্তল, গুলি, চাপাতিসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সাতজন ও এসব অলঙ্কার কেনার অপরাধে আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতার ও সোনা উদ্ধারে অভিযান চলছে। ডাকাতদের আদালতে ওঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, এ চক্রটি বংশপরম্পরায় ডাকাতি করে আসছে। ইতিমধ্যে একটি বড় লঞ্চে ডাকাতির কথাও তারা স্বীকার করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ডাকাতির সঙ্গে তারা জড়িত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী রিপন বণিক বলেন, ‘চার দিন আগে আমাদের দোকান থেকে ১০০ ভরি সোনা ডাকাতি হয়েছে। সবই ক্রেতাদের ছিল। সেখান থেকে ৬৯ ভরি উদ্ধার হয়েছে। আমি মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ক্রেতারা আমাদের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। অবশিষ্ট সোনা উদ্ধার হলে আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতাম।’ পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন বলেন, ডাকাত চক্রটি মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশ জেলার লোক। এদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

 

সর্বশেষ খবর