বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের যমুনা নদী থেকে আবারও অবৈধভাবে বালু তুলছে প্রভাবশালীরা। এ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাতে ও দিনে সমান তালে বালু তুলতে থাকায় নদী পাড়ে ভাঙন দেখা যায়। উপজেলার শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকার বালু উত্তোলনের ফলে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এভাবে বালু তুলতে থাকলেও প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। বার বার নদী ভাঙনের কবলে বিলীন হয়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ১২টি গ্রাম। ওই সব গ্রামের লোকজন যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে, বাঁধের উপরসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। যমুনায় বিলীন হওয়া গ্রামের মধ্যে বৈশাখী ও রাধানগর গ্রাম অনেক বছর আগেই চরাঞ্চল হয়ে জেগে ওঠে। শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন কবলিত মানুষজন বৈশাখী ও রাধা নগর চরে এবং চরাঞ্চলে ফসল ফলিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনের সঙ্গে লুকোচুরির মাধ্যমে রাতের আঁধারে ভাসমান লঞ্চ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদী পথে বিক্রি করে আসছে। করোনার আগে অভিযান পরিচালনা করে লাখ টাকা জরিমানাসহ বালু ব্যবসায়ীদের কারাদন্ডও প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে ধুনট পুলিশের সহযোগিতায় ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত ও এসিল্যান্ড বরকতউল্লাহ্ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪টি ড্রেজার মেশিন জব্দ এবং ১৪ জনকে আটক করে ১ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি প্রভাবশালীদের অবৈধ বালুর কারবার। গতকাল সকালে সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার শহড়াবাড়ী যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের পাশেই ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করে জমা করা হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্য ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে শহড়াবাড়ি ঘাটে জমা করে সেখান থেকে অবৈধভাবে বিক্রি করেছেন কতিপয় ব্যক্তি। স্থানীয় লোকজন জানায় প্রায় ১০/১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই অবৈধ বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রক। তাদের নেতৃত্বেই প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি লঞ্চ চালিত ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে যত্রতত্রভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে নদীপথে বিক্রি করে আসছে। কিছুদিন আগেও লুকোচুরি করে বালু উত্তোলন করলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্যে যমুনায় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। বৈশাখী চরের বাসিন্দারা জানান, বৈশাখী চরে বসবাস করলেও বালু ব্যবসায়ীরা ফসলি জমিসহ ভিটেমাটিও কেটে নিয়ে গেছে অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ও বাঁধ এখন হুমকির মুখে পড়ছে। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান যমুনা নদীতে অসংখ্যবার অভিযান পরিচালনা করে জেল-জরিমানাও করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে ১ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ফের যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। খোঁজ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
শিরোনাম
- জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
- চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
- মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭০০
- বরিশালের তিন অসহায় নারীর স্বামীকে রিকশা বিতরণ
- নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
- র্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে
- রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির
- প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
- ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল
- গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
- ‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
- তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
- একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
যমুনায় অবৈধ বালু উত্তোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর