রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চলছে ফিটনেসহীন যাত্রীবাহী নৌযান

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

চলছে ফিটনেসহীন যাত্রীবাহী নৌযান

সাগর উপকূলে জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দুর্যোগ মৌসুম। আর দুর্যোগ মৌসুম মানেই উপকূলবাসীর জন্য বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাস আতঙ্ক। এ মৌসুমে বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে প্রলায়ঙ্করী অনেক ঘূর্ণিঝড়। তাই দুর্যোগ মৌসুমে উপকূলের নদ-নদীতে যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরাঞ্চলে চলছে ফিটনেসহীন যাত্রীবাহী নৌযান। অসাধু শ্রেণির ব্যবসায়ীরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অনুমোদনহীন ইঞ্জিল চালিত ছোট ছোট ট্রলার নদী পথে যাত্রী বাহনে ব্যবহার করছেন। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনিরাপদ এসব ট্রলারে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ পারাপার করছেন। এ কারণে নৌ-দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ থেকে গলাচিপা, কোড়ালিয়া থেকে চালিতাবুনিয়া, গাইয়াপাড়া থেকে কলাপাড়া, চমোন্তাজ থেকে উলানিয়া, গহিনখালী থেকে চরমোন্তাজ এসব নৌ-রুটে প্রতিনিয়ত যাত্রী নিয়ে ফিটনেসহীন ট্রলার চলাচল করছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলার সঙ্গে সড়ক পথে জেলা শহরের কোনো প্রকার সংযোগ না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলারে নদী পথে চলাচল করছেন। এ ছাড়াও এখানকার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে দুই ইউনিয়ন তথা চরমোন্তাজ ও চালিতাবুনিয়া উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন। এসব বিচ্ছিন্ন দ্বীপের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। যার কারণে প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে নদী পথে অনিরাপদ নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। স্থানীয়রা জানান, রাঙ্গাবালীর আগুনমুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ, দারছিড়া ও তেঁতুলিয়া নদীতে অনুমোদনহীন ছোট ছোট ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রী পারাপর করা হচ্ছে। ভালো কোনো লঞ্চের ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ কারণে যে কোনো সময় বড় ধরনের নৌ-দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন শঙ্কা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর