মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শীতের আগমনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ধুনকররা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে শীতের আগমনীবার্তায় লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন ধুনকররা। গ্রামীণ জনপদে বিরাজ করছে হিম হিম আমেজ। সকাল এবং সন্ধ্যায় দৃষ্টিসীমা হরণ করছে কুয়াশা। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে, সন্ধ্যা হলেই কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এখানকার জনপদ। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃদু শীত পড়ায় ফ্যানের কদর কমে ব্যবহার শুরু হয়েছে হালকা কাঁথা, কম্বল ও চাদরের। ফলে বেরিয়ে পড়ছে তুলে রাখা কাঁথা, কম্বল,  সোয়েটার, মাফলার, লেপসহ শীত নিবারণের সব বস্ত্র। সেই সঙ্গে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে ধুনকরদের দোকানে লেপ-তোশক তৈরি করে নিতে। আর গ্রাহকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে এখানকার ধুনকররা। নাটোরের আরমান বেডিং স্টোরের কাপড় ব্যবসায়ী আরমান খাঁন জানান, এবারে শীতের তীব্রতা বাড়বে আশঙ্কায় লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখানে প্রতিটি লেপ রকমভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় এবং তোশক ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপড় ব্যবসায়ী  রুস্তম খাঁন বলেন, জেলায় শীতের আগমনী বার্তা এসে পড়ায় মানুষ আগাম লেপ-তোশক তৈরিতে ঝুঁকে পড়েছেন। তাই লেপ-তোশকের কাপড় ও তুলার ব্যবসা বর্তমানে জমে উঠেছে।

ধুনকর কাশেম মিয়া, জামাল আলী, রতন সরদার জানান, আমরা প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে সাতটি লেপ ও তোশক তৈরি করে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারি। তুলা ব্যবসায়ী সাত্তার জানান, কার্পাস তুলা কেজি ২৫০, শিমুল তুলা ৩০০ এবং গার্মেন্ট তুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। লেপ-তোশক তৈরির কাজে ব্যস্ত ধুনকর কাশেম মিয়া জানান, বর্তমানে দেশি তুলা বিশেষ করে শিমুল ও কার্পাস তুলার উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেশি। ফলে বেশিরভাগ গার্মেন্টের ঝুটের তুলা দিয়ে লেপ-তোশক তৈরি হচ্ছে। তারা বছরের এই সময়টার উপার্জন দিয়ে বাকি সময় পাড়ি দেওয়ার জন্য দিন-রাত একাকার করে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানায়।

সর্বশেষ খবর