মাদারীপুর যক্ষ্মা হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সেবা। চার বছর ধরে হাসপাতালের দুজন চিকিৎকের পদ শূন্য। শূন্য পদের বিপরীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দফতর থেকে একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি সব সময় এখানে আসতে পারেন না। পাশের জেলা শরীয়তপুর থেকে আসা কবীর ফরাজী (৫০) দুই মাস ধরে কাশিতে ভুগছেন। তিনি বলেন, গত দুই মাসে কয়েকবার তিনি এ হাসপাতালে এসেছেন। ডাক্তার না থাকায় এখানের ফার্মাসিস্ট মোস্তাফিজুর রহমান আমাদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দেন। একই কথা বলেন এক রোগীর স্বজন লিমা আক্তার। গত বুধবার মাদারীপুর বক্ষ্যব্যাধি (যক্ষ্মা) হাসপাতালে গিয়ে এ চিত্রই দেখা যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল অফিসার পদে একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও দুজনের পদই চার বছর ধরে শূন্য। এদের বিপরীতে ডা. টি এম শাহিন ইকবালকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তার নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি সময়-সুযোগ মতো এখানে রোগী দেখতে আসেন। এ ছাড়া এমটি রেডিওগ্রাফার একজন, এমটি ল্যাব একজন, ফার্মাসিস্ট একজন, সহকারী সেবক একজন, ড্রাইভার একজন, গৃহপরিদর্শিকা দুজন, এমএলএসএস তিনজন, আয়া একজন এবং ঝাড়ুদার একজনের পদ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে খালি রয়েছে। এতে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালে কর্মরত ফার্মাসিস্ট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালের ১৭ জনবলের বিপরীতে ডাক্তারসহ ৯ জনের পদ শূন্য। একজন রেডিওগ্রাফার নিয়োগ থাকলেও তিনি ডেপুটেশনে সদর হাসপাতালে ডিউটি করেন। একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগ থাকলেও তিনি ডেপুটেশনে আছেন বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেলে। হাসপাতালের যিনি সহকারী সেবক (নার্স) তিনি ডেপুটেশনে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছেন। ফলে এ হাসপাতাল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী জব্বার আকন বলেন, ‘আমার দুই সপ্তাহ ধরে কাশি। মাদারীপুর টিবি হাসপাতালে দুই দিন ধরে ডাক্তার দেখাতে আসছি কিন্তু ডাক্তার পাচ্ছি না। ডাসার উপজেলার বাকি বাকাই ইউনিয়ন থেকে আসা আবুল কালাম বলেন, ‘ডাক্তার নেই। এখানে যারা স্টাফ আছে তারাই আমাদের কফ পরীক্ষা ও ওষুধপত্র দিচ্ছেন। এখানে দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ হলে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার কয়েক লাখ মানুষের যক্ষ্মার চিকিৎসাসেবা পেতে সুবিধা হবে। ডা. টি এম শাহিন ইকবাল বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন বক্ষ্যব্যাধিতে রোগীদের সেবা দেই।’ মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করেছি মাত্র কয়েক দিন হয়েছে। এখনো বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালে যাইনি। দুজন ডাক্তার নেই চার বছর ধরে। ইতিমধ্যে বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবল নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
শিরোনাম
- আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
- ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
- রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান
- র্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
- ‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
- শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
- ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
- ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন
- ‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
- ফেব্রুয়ারিতেই স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা