রবিবার, ১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত ৩৭৫ শিক্ষক-কর্মচারী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ৩৭৫ জন শিক্ষক ও সুপারভাইজার। ফলে এবার ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ‘আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন’ প্রকল্পের আওতায় কর্মরত ৩৫০ জন শিক্ষক ৪ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ২৫ জন প্রোগ্রাম সুপারভাইজার ৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে শিশু জরিপ, শিখন কেন্দ্র পরিচালনাসহ দাফতরিক কাজ করে আসছেন প্রোগ্রাম সুপারভাইজাররা। কিন্তু খরচকৃত অর্থসহ ৫ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া শিখন কেন্দ্রের ভাড়া বাবদও কোনো অর্থ পাননি জায়গার মালিকরা। এতে করে অনেকেই শিখন কেন্দ্রের জন্য ঘর ভাড়া দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ঘরের অভাবে শিখন কেন্দ্র পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো একটি প্রকল্প নিয়েছে এবং সরকারের অংশীজন হিসেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা চেতনা মানবিক উন্নয়ন সংস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩৫০ টি স্কুল চালু করা হয়েছে।  প্রতিটি স্কুলে একজন করে শিক্ষক এবং শিখন কাজ তদারকির জন্য ২৫ জন প্রোগ্রাম সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন ৫ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজারদের  বেতন ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু বিদ্যালয় চালুর পর চার মাস ধরে শিক্ষক ও প্রোগ্রাম সুপারভাইজাররা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। বেতন বঞ্চিত শিক্ষক ও সুপারভাইজাররা বলেন, বিদ্যালয় শুরুর আগে শিশু জরিপ বাবদ প্রাপ্য সম্মানী এখনো পাওয়া যায়নি। এমনকি বিদ্যালয় শুরু থেকে আজ অবধি বেতনও পাননি তারা। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা আরও বলেন, ভেবেছিলাম ঈদের মধ্যে বেতন-ভাতা পাব কিন্তু তা না পাওয়ায় এবার পরিবার পরিজন নিয়ে নিরানন্দ ঈদ পালন করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে এই প্রকল্পে অর্থ ছাড় করা হয়নি, তাই বেতন পাননি শিক্ষক ও সুপারভাইজাররা। অন্যদিকে শিক্ষক-সুপারভাইজারদের নিয়োগকারী সংস্থা চেতনা মানবিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. জাফরুল আলম জানান, বেতন দেবে সরকার। সরকার টাকা ছাড় করেনি। এ জন্য শিক্ষক ও সুপারভাইজারদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর