গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
একই পোস্টে তিনি জুমার নামাজের পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক দেন। তার আগে একই ডাক দিয়েছেন দলটির আরেক মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
“আছি যমুনার সামনে।
বাদ জুমা যমুনা সংলগ্ন ফোয়ারার পাদদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এতে অংশ নেবে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলসমূহ, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার পরিবারগুলো এবং সর্বশেষ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার।
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলছে এবং চলবে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের। জনরোষে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান দলটির প্রধান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা।
বুধবার গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় যমুনার সামনে হাসনাতের ডাকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়, যা এখনও চলছে।
এতে হাসনাতের দল এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ