বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়া হলের একটি কক্ষ দখলের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মধ্যরাতে ওই কক্ষের আবাসিক ছাত্রীসহ প্রায় ২০ ছাত্রী হলের বাইরে অবস্থান নেন এবং রাতভর আন্দোলন করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হলের বাইরে গেটের সামনে বসে এ আন্দোলন চালিয়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম আন্দোলনরত ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে ওই হলের প্রভোস্ট এসে কক্ষটি তালাবদ্ধ করে দেন এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন। প্রভোস্টের আশ্বাসে ছাত্রীরা আন্দোলন থামিয়ে নিজ নিজ কক্ষে চলে যান। হলসূত্রে জানা যায়, দখলকৃত কক্ষটি বেগম রোকেয়া হলের মূল ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষ। এটি মূলত চারটি সিটের একটি কক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আঁখি ওই কক্ষে থাকেন। বাকৃবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নিজের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেন নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান রিজা ও তানজিনা শিকদার প্রিয়া। এর পরই তাদের সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়।
অভিযোগকারী ছাত্রী সুরাইয়া আঁখি বলেন, ‘আমি ছুটিতে বাড়ি ছিলাম। হলে এসে দেখি নেত্রী রিজা ও তার সমর্থকরা আমাকে ওই কক্ষে ঢুকতে দিচ্ছে না। রবিবার রাত থেকে আমি ওই কক্ষের বাইরে অবস্থান করছি। আমি হল প্রশাসনকে অবহিত করলে তারা বিষয়টি শুরুতে আমলে নেননি।’ এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী ইসরাত জাহান রিজা বলেন, ‘অনেক দিন তালাবদ্ধ থাকায় হল প্রশাসনের সম্মতিতে ওই কক্ষে আমরা উঠেছি। কাউকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।’ প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কক্ষটি হল প্রশাসনের আয়ত্তে নিয়েছি। কক্ষটি তালাবদ্ধ করে সিলগালা করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’