শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্যার আগেই বাঁধে ধস

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

বন্যার আগেই বাঁধে ধস

গত বন্যার আগে সংস্কার করা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ধসে গেছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাঁধ এলাকায় বসবাসকারী মানুষ। বাঁধ ধসে যাওয়ায় বসতভিটা, আবাদি জমি ও স্থাপনা হারানোর শঙ্কায় শতাধিক পরিবার। বন্যা শুরু হওয়ার আগেই সংস্কার করা বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছের লোকজন। তারা বলছেন, বাঁধের সংস্কার কাজ সঠিকভাবে করা হলে এত তাড়াতাড়ি ধসে যেত না। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার ভাঙনে ছয়টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। অসময়ে তিস্তায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদী-তীরে বসবাসকারী মানুষ। আগামীর ঠিকানা কোথায় হবে তা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা। খুনিয়াগাছের আসলাম মিয়া বলেন, গত বছর বন্যার শেষ দিকে ৫ হাজার জিওব্যাগ ডাম্পিং করে পাউবো। শুধু জিওব্যাগ দিয়ে এ ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে এ বছর বন্যা না আসতেই ৩০০ মিটার বাঁধটির প্রায় ৪০ মিটার ধসে গেছে। তিস্তা নদীর ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসতভিটা। একই গ্রামের নিজাম উদ্দিন বলেন, গেল বছর সংস্কার করা বাঁধটিতে ধস দেখা দেওয়ায় তারা আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। বসতভিটা রক্ষায় গ্রামবাসী কিছু বস্তা সংগ্রহ করে তাতে বালুভরে ডাম্পিং করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন।  লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়ে বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, বাঁধটি দ্রুত সংস্কার করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বন্যা শুরুর আগে বাঁধটি সংস্কার সম্পন্ন হবে বলে পাউবো কর্তৃপক্ষ তাকে নিশ্চিত করেছেন। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বাঁধটির ধসে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করে পুনসংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বন্যার আগেই বাঁধটি সংস্কার করে বসতভিটাসহ স্থাপনা নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে। গেল বছর বন্যা-পরবর্তী বাঁধটি সংস্কার করা হয়েছে। পানির স্রোতে নদীপাড়ের যেকোনো স্থাপনা বিলীন হতে পারে। তবে কাজে কোনো অনিয়ম ছিল না।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর