নাব্য হারিয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। ভরাট হয়ে গেছে তলদেশ। ডুবোচরে আটকা পড়ছে নৌযান। কমেছে বিদ্যুৎ ও মাছ উৎপাদন। যে হ্রদ সৃষ্টি হয়েছিল রাঙামাটিবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে তা এখন অস্তিত্ব সংকটে। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হ্রদ ড্রেজিংয়ের উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও তা কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। সিদ্ধান্তহীনতায় ঝুলে আছে ড্রেজিং কার্যক্রম। কাপ্তাই হ্রদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন কোনো তথ্য নেই। ওপর লেভেলে কাজ হচ্ছে।’ তিনি জানান, পাউবো জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় হ্রদ ড্রেজিং বিষয়ে গবেষণা করছে। সূত্র জানান, ১৯৬০ সালে পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে খরস্রোতা কর্ণফুলীর ওপর বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় কাপ্তাই হ্রদ। এটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলরাশি। বিদ্যুতের পাশাপাশি মাছ উৎপাদন, নৌ যোগাযোগ, ভাসমান চাষাবাদ, সেচের পানি সরবরাহ, পর্যটনসহ বিভিন্ন সুযোগ ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে হ্রদ ঘিরে। গত ৬২ বছরে কাপ্তাই হ্রদের কোনো সংস্কার বা ড্রেজিং হয়নি। বছরের পর বছর পাহাড়ি ঢলে পলি ও বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে তলদেশ। আশপাশে গড়ে ওঠা স-মিল, মিলিং মিল, ফিলিং স্টেশন, জেটিঘাট, বাস ও ট্রাক টার্মিনাল, হোটেল, বাসাবাড়ি, রেস্তোরাঁসহ আবাসিক এলাকার বর্জ্য পড়ছে হ্রদে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন ও রাঙামাটি উন্নয়ন অধিদফতর বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং না হওয়ায় তিনটি মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র রিংখিং, কাচালং ও বরকল চ্যানেল একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ২০১৭ সালের পর এসব এলাকায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন হয়নি। এতে কার্পজাতীয় মাছ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নাব্য কম থাকায় মাছ ডিম ছাড়তে পারে না।’ কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আবদুজ জাহেদ বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিয়েছে।’
শিরোনাম
- সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
- অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
- ফেনীতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এক ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
- কুয়েত চেম্বারে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের বিশেষ সভা
- শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
- দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু
- জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
- সিদ্ধিরগঞ্জে অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
- ফেনীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
- বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য শাবিপ্রবির চার পদক্ষেপ
- যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল মিললো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ
- ঝিনাইদহে মাছ ধরা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১২
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় কমিশন
- শ্রীবরদীতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ উদ্ধার
- দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
- ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামাকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
- চাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের আবেদনে মনোনয়নের সময় একদিন বাড়াল কমিশন
- ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
- নতুন মামলায় আনিসুল-আমুসহ ৮ জন গ্রেফতার
- দিনাজপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেলপথ ও সড়ক অবরোধ