বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

যাত্রীছাউনি না থাকায় ভোগান্তি

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

যাত্রীছাউনি না থাকায় ভোগান্তি

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে কোনো যাত্রীছাউনি নেই। দুটি যাত্রীছাউনি ছিল কিন্তু রাস্তা প্রশস্ত করার সময় সে দুটি ভেঙে ফেলা হয়। যাত্রীরা রোদবৃষ্টিতে ছাউনি ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকেন বাসের অপেক্ষায়। ভেঙে ফেলা যাত্রীছাউনি দুটির একটি নির্মাণ করেছিল মানিকগঞ্জ পৌরসভা, আরেকটি জেলা পরিষদ। যাত্রীছাউনি না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। সরেজমিন দেখা যায়, বাসের জন্য লোকজন প্রচ- রোদে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। বৃষ্টির মধ্যেও তারা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করেন। জেলাবাসীর রাজধানীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ। জেলার শিবালয়, ঘিওর, দৌলতপুর, হরিরামপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন সাধারণ যানবাহনে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এসে জড়ো হন। তারপর দূরপাল্লার যানবাহনে উঠে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যান। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে যাত্রীরা পড়েন মহাবিপাকে। এখানে যাত্রীদের বসার কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেই। নেই কোনো পাবলিক টয়লেট। যাত্রীছাউনি না থাকায় দূরদূরান্তের যাত্রীরা রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে যান। এখানে এসে বয়স্ক ও শিশুরা হয়ে পড়েন একেবারে অসহায়। ঢাকাগামী মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাড়ি দৌলতপুর। যমুনা নদী পাড়ি দিয়েছি ইঞ্জিনচালিত নৌকায়। তারপর লোকাল বাসে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এসে একটু ভালো বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোনো যাত্রীছাউনি না থাকায় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’ আরেক যাত্রী রেবেকা বলেন, ‘আমি জাফরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছি। একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। মা এবং সাত বছরের সন্তান মৌটুসি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীছাউনি থাকবে না ভাবাই যায় না।’ পৌরসভার প্যানেল মেয়র তছলিম হৃদয় বলেন, ‘রাস্তা প্রশস্ত করার সময় পৌরসভা নির্মিত যাত্রীছাউনিটি ভাঙা পড়ে। পুনরায় যাত্রীছাউনি করার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গার ব্যবস্থা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি আধুনিক যাত্রীছাউনি করা হবে।’ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গা নেই। যাত্রীছাউনি করার জন্য জায়গার ব্যবস্থা হলে একটি মানসম্পন্ন যাত্রীছাউনি করা হবে।’

সর্বশেষ খবর