শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সেতুর অভাবে যত দুর্ভোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সেতুর অভাবে যত দুর্ভোগ

নৌকায় বেমালিয়া নদী পার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সরাইলের পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের বেমালিয়া নদীতে সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার ১০ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। গ্রামগুলো হচ্ছে- জয়ধরকান্দি, করিমপুর, কাশেমপুর, মহিষবেড়, নয়াকান্দি, খদরকান্দি, বাগি, শিমুকান্দি, তেলিকান্দি, মুহাম্মদপুর। জয়ধরকান্দির উত্তরপাশ দিয়ে বয়ে গেছে বেমালিয়া নদী। এ নদীতে সেতুর অভাবে কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে জমির ফসল কেনাবেচা ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। নদীর দক্ষিণ পাশের কেউ কোনো কাজে এলে নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। নৌকা না থাকলে সাঁতরে নদী পার হন। নদীর উত্তর পাড়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ পাড়ের স্কুলগুলোয় আসতে কষ্ট হয়। সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। নদীর উত্তরে রয়েছে জয়ধরকান্দির অর্ধেক, করিমপুর, কাশেমপুর, মহিষবেড় ও নয়াকান্দি গ্রাম। ওইসব গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের ফসলি জমি রয়েছে নদীর দক্ষিণ পাশে। উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে কোনো বাজার বা হাট না থাকায় তারা উত্তর তীরের হাটবাজারের ওপর নির্ভরশীল। সরেজমিন দেখা যায়, পারাপারের জন্য নদীর বিভিন্ন ঘাটে রয়েছে ছোট ছোট নৌকা। বৈঠা ও রশি দিয়ে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ঘাটে নৌকা না থাকায় অনেকে আবার বসে আছেন। আলীম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র শাহজাহান মিয়া, রিতু আক্তার এবং দশম শ্রেণির তায়্যিবা আক্তার, শারমিন নিশাত, মুক্তার হোসেন জানায়, সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় ঘাটে নৌকা না থাকায় সময়মতো ক্লাস-কোচিংয়ে যেতে পারে না। পল্লীচিকিৎসক ওবায়েদ উল্লাহ বলেন, বেমালিয়া নদীতে সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। দুই পারের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। ফসল সময়মতো ঘরে তোলা যায় না। পাকশিমুল ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সেতুর ব্যাপারে কথা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন,  বেমালিয়া নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর