প্রতি বছরের মতো এবারও যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরে ব্যাপকহারে শীতের সবজি চাষ করেছেন জামালপুরের কৃষকরা। লাভের আশায় শীতের আগাম সবজি চাষ করলেও বিরূপ আবহাওয়া আর সার ও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছে জেলার চাষিরা। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং শীতের শুরুতেই সবজি বাজারে নিতে পারলে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন এমন প্রত্যাশা তাদের। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তীর্ণ চরের যে দিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ সবজি খেত। বাজারে আগাম সবজি আনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতি বছরের মতো এবারও বেগুন, টমেটো, শিম, করলা, চিচিঙ্গা, ঢেড়স, লাউসহ বিভিন্ন শীতের সবজি চাষ করেছে জামালপুরের কৃষকরা। গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। এ বছরও শীতের আগাম সবজি চাষ করলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন তারা। এর ওপর সার, বীজ, তেল আর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানান, পূর্বপুরুষ থেকে করে আসা চাষাবাদ লোকসান হলেও তারা ছাড়তে পারছে না। শীতের শুরুতে সবজির দাম ভালো পাওয়া যায়, তাই ভরা মৌসুম শুরুর আগেই তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে তুলতে পারলে খরচ উঠিয়েও লাভের মুখ দেখবেন তারা। ফলে সারাদিন সবজি খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর জেলায় ১৭ হাজার ৮৮৯ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছিল। চলতি বছরও সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা সমান ধরা হয়েছে। জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, এ বছর বন্যা না হওয়ায় কৃষকরা আগাম সবজির চাষ করেছেন।